এর পাশাপাশি দুজন মন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে সৌদি রাজ পরিবারের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যও রয়েছেন।
সৌদি বাদশাহ সালমান শনিবার আলাদা ডিক্রিতে এই রদবদলের আদেশ দেন, যার মধ্যে দিয়ে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রভাব আরও সুসংহত করা হল বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
বিবিসি লিখেছে, বাদশাহ সালমান এক ডিক্রির মাধ্যমে যুবরাজের নেতৃত্বে নতুন দুর্নীতি দমন কমিটি গঠনের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারের খবর আসে।
সৌদি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে বিলিয়নেয়ার প্রিন্স আল-ওয়ালিদ বিন তালালও রয়েছেন, যার মালিকানায় রয়েছে ইনভেস্টমেন্ট ফার্ম কিংডম হোল্ডিং। এছাড়া সৌদি আরবের সাবেক অর্থমন্ত্রী ইব্রাহিম আল-আসাফও গ্রেপ্তার হয়েছেন।
তবে তাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে- সেসব বিষয় এখনও স্পষ্ট করেনি সৌদি কর্তৃপক্ষ।
তবে সৌদি টেলিভিশন আল আরাবিয়ার খবরে বলা হয়েছে, জেদ্দায় ২০০৯ সালের বন্যা এবং ২০১২ সালে সৌদি আরবে মের্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে দেশটিতে নতুন করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
আর রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, যুবরাজ্যের নেতৃত্বে গঠিত দুর্নীতি দমন কমিটিকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পাশাপাশি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারিরও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে ন্যাশনাল গার্ড বিষয়ক মন্ত্রীর পদ থেকে প্রিন্স মেতিব বিন আবদুল্লাহকে সরিয়ে খালেদ বিন আইয়াফকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আদেল আল ফাকিহর বদলে এসেছেন ওই মন্ত্রণালয়ের উপ মন্ত্রী মোহাম্মদ আল-তোইজরি। নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আব্দুল্লাহ বিন সুলতান বিন মোহাম্মদ আল সুলতানকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।
সৌদি আরবের প্রয়াত বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজের ছেলে মেতিবকে এক সময় সিংহাসনের অন্যতম দাবিদার বলে মনে করা হত। রাজপরিবারে আবদুল্লাহর বংশধরদের মধ্যে কেবল তিনিই সৌদি সরকারের সর্বোচ্চ স্তরে ছিলেন।
বিবিসি লিখেছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসা যুবরাজ মোহাম্মদ এই রদবদলের ফলে পুরো দেশের সব নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর প্রাথমিক নিয়ন্ত্রণ পেলেন।
সম্প্রতি রিয়াদে এক অর্থনৈতিক সম্মেলনে তিনি বলেন, সৌদি আরবের আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে তার পরিকল্পনার মূলমন্ত্র হবে ইসলামের কট্টর অবস্থান থেকে উদারনীতিতে ফিরে আসা।
চলতি বছর জুনে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হওয়ার পর থেকেই বিশ্বে সৌদি আরবের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে নানা ধরনের সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছেন যুবরাজ মোহাম্মদ।