শুক্রবার ইরাক-সিরিয়া সীমান্তের মাত্র কয়েকটি শহরে আইএস খিলাফত সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
দু’দেশেই আইএস তাদের প্রায় অন্য সব এলাকার দখল হারানোর পর সীমান্ত ওই শহরগুলোতে জঙ্গি গোষ্ঠীটির হাজার হাজার যোদ্ধা আটকা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিরিয়ার অংশের সীমান্তে সরকারি বাহিনী আইএস এর সর্বশেষ প্রধান ঘাঁটি দেইর আল জোর এ বিজয় ঘোষণা করেছে।
অন্যদিকে, ইরাকের অংশের সীমান্তে সরকারপন্থি বাহিনী বলেছে, তারা ইউফ্রেটিস উপত্যকায় সিরিয়ার সঙ্গেকার সর্বশেষ সীমান্ত ফাঁড়ি দখল করে নিয়েছে এবং কাছাকাছি আল-কাইম শহরে প্রবেশ করেছে। আল-কাইম ইরাক সীমান্তে আইএস এর সর্বশেষ ঘাঁটি।
সীমান্তের উভয় পাশে আইএস এর ওপর বোমা হামলা এবং দু’পাশের স্থলবাহিনীকে সহায়তা করে আসা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন বাহিনী বলেছে, আইএস এর এখন মাত্র কয়েক হাজার যোদ্ধা বাকী আছে। তাদের বেশিরভাগই আছে ইরাকের আল-কাইম সীমান্তে এবং সিরিয়ার অংশের আলবু কামাল শহরে।
কোয়ালিশন বাহিনীর মুখপাত্র মার্কিন কর্নেল রায়ান ডিলান বলেন, “আমরা এখন আশা করছি তারা পালিয়ে যাবে। তবে আমরা সে ব্যাপারে সজাগ রয়েছি এবং আইএস নেতাদের নির্মূল করতে যা কিছু করা সম্ভব তার সবই করব।”
আল-কাইমে আইএস এর ১৫শ’ থেকে ২৫শ’ যোদ্ধা এবং আলবু কামালে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার যোদ্ধা থাকতে পারে বলে ধারণা প্রকাশ করেন ডিলান।
তবে ইরাক এবং সিরিয়া দুই দেশের সরকার ও তাদের আন্তর্জাতিক সমর্থকরাই বলছে, আইএস যোদ্ধাদের দখলে আর কোনও এলাকা না থাকলে তারা গেরিলা হামলা চালাতে সমক্ষ হয়ে উঠতে পারে এমন আশঙ্কা আছে।