‘কট্টরপন্থা’ উপড়ে উদারনীতি নিতে চান সৌদি প্রিন্স

‘কট্টরপন্থা’ উপড়ে ফেলে ‘মধ্যপন্থার’ ইসলাম ধর্মে ফেরার অঙ্গীকার করেছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Oct 2017, 04:57 AM
Updated : 19 May 2018, 08:17 AM

আরব বিশ্বসহ গোটা বিশ্বে ‘কট্টরপন্থি আদর্শের’ দেশ হিসাবে পরিচিত সৌদি আরবের এ চিত্রটিই এবার বদলাতে চাইছেন সৌদি যুবরাজ।

বিশ্বে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে সৌদি আরবকেও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং উন্নয়নের পথে চালিত করতেই এ পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

সিএনএন জানায়, মঙ্গলবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ উদ্যোগ সংক্রান্ত একটি সম্মেলনে দেশে এ নতুন উদারনীতির ইঙ্গিত দেন সালমান। এতে করে তিনি কেবল বিনিয়োগকারীদেরই নয় বরং গোটা বিশ্বেরই নজর কেড়েছেন।

তিনি বলেন, “আমরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চাই। এমন ধরনের জীবনযাত্রা যেখানে আমাদের ধর্ম এবং এবং ঐতিহ্য সহিষ্ণুতায় রূপান্তরিত হবে যাতে করে আমরা বিশ্বের অন্যদের সঙ্গে সহাবস্থানে আসতে পারি এবং বৈশ্বিক উন্নয়নের অংশীদার হতে পারি।”

তিনি আরও বলেন, “সৌদি আরব কট্টরপন্থি সব চিন্তাভাবনাকে দূরে ঠেলে দেবে।” সৌদি আরব অতীতে এমন ছিল না বলেও উল্লেখ করেন সালমান।

তিনি বলেন, “আমরা আগে যা ছিলাম সেখানেই ফিরে যাব।  অর্থাৎ, মধ্যপন্থি ইসলাম ধর্মের দেশ হব। বিশ্বের সব ধর্মের মানুষের জন্য আমাদের দরজা খোলা থাকবে।”

“সৌদি আরবের জনগণের ৭০ শতাংশ ৩০ বছরের কম বয়সী। কট্টরপন্থি চিন্তাভাবনা নিয়ে আমরা জীবনের ৩০টি বছর নষ্ট করব না। বরং দেশ থেকে কট্টরপন্থাকে আজ অচিরেই উপড়ে ফেলব।”

চলতি বছর ২১ জুন হঠাৎ করে উত্তরাধিকারী  হওয়ার পর থেকেই বিশ্বে সৌদি আরবের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে উদ্যোগ নিচ্ছেন তিনি।

২০১৮ সালের জুন থেকে সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালাতে দেওয়ার মাইলফলক সিদ্ধান্তের একমাসের মাথায় প্রিন্স সালমান উদারনৈতিক ইসলামধর্মে ফেরার কথা বললেন।

সৌদি আরবই বিশ্বে একমাত্র দেশ যেখানে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি ছিল না। এ গোঁড়ামির বৃত্ত ভেঙেই বেরিয়ে আসতে চাইছেন সৌদি প্রিন্স।

মানবাধিকার কর্মীরা তার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রিন্সের উদ্যোগের সমালোচনায় সরব হয়েছেন সৌদি আরবের কিছু অতিরক্ষণশীলরা। ফলে বৃত্ত ভেঙে বেরিয়ে আসা কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞেরই সংশয় আছে।