হোয়াইট হাউজে ইরান সম্পর্কে নতুন নীতি শুক্রবারই ঘোষণা করার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ট্রাম্প কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর এ ঘোষণা দিচ্ছেন।
ট্রাম্পের নতুন ইরান নীতি অনুমোদন করে ফেলার কথা হোয়াইট হাউজ শুক্রবার দিনের শুরুতেই জানিয়েছে।
এ নীতিতে ট্রাম্প প্রকাশ্যে ইরানের পারমাণবিক চুক্তিতে না থাকার ঘোষণা দিতে পারেন। তবে আপাতত চুক্তিটি সম্পূর্ণ বাতিল করার কথা তিনি বলবেন না বলেই আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্পের নতুন নীতিতে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হতে পারে। ইরান ‘চুক্তিটি মেনে চলছে’ সে সার্টিফিকেটও তিনি কংগ্রেসকে দেবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে।
বক্তব্যে ইরানের অ-পারমাণবিক কর্মকান্ডগুলোর ওপর ট্রাম্প আলোকপাত করতে পারেন। বিশেষত, ইরানের প্রভাবশালী রেভল্যুশনারী গার্ড বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদদের অভিযোগ আনতে পারেন তিনি।
শুরু থেকেই ইরানের বিরুদ্ধে তোপ দেগে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ ইরানের সঙ্গে ৬ শক্তিধর দেশের পরমাণু চুক্তি বাতিল করারও হুমকি তিনি একাধিকবার দিয়েছেন৷ তার মতে, ইরান এ চুক্তির ‘স্পিরিট’ বা মূলমন্ত্র অমান্য করছে৷
ইরান প্রশাসন সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়াসহ মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে দিচ্ছে বলেও মনে করেন ট্রাম্প৷ তাই ইরানের আগ্রাসী মনোভাব ও পরমাণু অস্ত্র তৈরির স্বপ্ন বন্ধ করতে এ সংক্রান্ত কড়া নীতির পূর্বাভাস আগেই দিয়েছেন ট্রাম্প। আর এখন সে ঘোষণাই দিতে চলেছেন তিনি।
এ সময়েই কেন ইরান নীতি ঘোষণা করছেন ট্রাম্প?
যুক্তরাষ্ট্রে ‘ইরান নিউক্লিয়ার এগ্রিমেন্ট রিভিউ অ্যাক্ট’ (ইনারা) এর আওতায় ইরান পরমাণু চুক্তি মেনে চলছে কি-না তা ৯০ দিন পর পর কংগ্রেসকে জানানো মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব।
এ নিয়মানুযায়ী, ১৫ অক্টোবরের মধ্যেই ট্রাম্পকে ইরানের চুক্তি মেনে চলার সার্টিফিকেট কংগ্রেসকে দিতে হবে।
ট্রাম্প এরই মধ্যে দুইবার ইরানের চুক্তিটি নিয়ে কথা বলেছেন। চুক্তিটিকে এ যাবতকালের ‘সবচেয়ে বাজে চুক্তি’ও আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
এখন বিষয়টি নিয়ে তার চূড়ান্ত বক্তব্য দেওয়ার শেষ সময়সীমা হচ্ছে রোববার। ফলে ট্রাম্প এ সময়টিতেই নতুন ইরান নীতি ঘোষণার পথে এগুলেন।
ট্রাম্প কংগ্রেসে ইরানের পারমাণবিক চুক্তি মেনে চলার স্বীকৃতি না দিলে কংগ্রেসকে ৬০ দিনের মধ্যে হয় চুক্তিটি বাতিল করা, নয়ত, নতুন করে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।