ফোর্বস ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ওই চ্যালেঞ্জ জানান বলে খবর বিবিসির।
চলতি বছরের জুলাইয়ে পেন্টাগনে এক বৈঠকের শেষে টিলারসন তাকে ‘বোকা’ বলেছিলেন, প্রকাশিত এমন প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ওই সংবাদকে ‘মিথ্যা’ হিসেবে দাবি করে করা এক মন্তব্যে চ্যালেঞ্জটি জানান ট্রাম্প।
বলেন, “ আমার মনে হয় এটা মিথ্যা সংবাদ। কিন্তু যদি তিনি (টিলারসন) এটা বলে থাকেন, তাহলে আইকিউ পরীক্ষার মাধ্যমেই আমাদের তুলনা হতে পারে। ওই পরীক্ষায় কে জিতবে, আমি তা আপনাদের বলতে পারি।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্কের টানাপোড়েনের সর্বশেষ প্রকাশ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। যদিও এই ধরণের গুঞ্জন ট্রাম্প বারবারই অস্বীকার করে আসছেন।
মঙ্গলবারও তিনি টিলারসনের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। এর আগে সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া মন্তব্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর প্রতি আস্থার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
“আমি কাউকে ছাঁটাই করতে যাচ্ছি না, লোকজনকে ছেঁটে ফেলায় আমি বিশ্বাসী না।”
ফোর্বস ম্যাগাজিনে ট্রাম্পের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে জানতে চাইলে হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ হাকেবি স্যান্ডার্স একে ‘কৌতুক’ বলে উড়িয়ে দেন।
মঙ্গলবারের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “এটা কৌতুক ছিল। আপনাদের খানিকটা সেন্স অব হিউমার থাকা উচিত।”
পররাষ্ট্র নীতির বিভিন্ন বিষয় বিশেষ করে ইরান ও উত্তর কোরিয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের ‘কমান্ডার ইন চিফ’ এবং শীর্ষ পর্যায়ের কূটনীতিকদের মধ্যে বিরোধের ইঙ্গিত আগে থেকেই দিয়ে আসছিল মার্কিন গণমাধ্যম।
যার সূত্র ধরে টিলারসন পদত্যাগের চিন্তা করেছিলেন, এমন খবরও রটেছিল। যদিও গত সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই খবর উড়িয়ে দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অবশ্য পেন্টাগনের বৈঠকে ট্রাম্পকে ‘মূর্খ’বলেছিলেন কি না তার কোনো জবাব দেননি টিলারসন।
চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প এক টুইটে টেক্সাসের সাবেক তেল ব্যবসায়ী টিলারসনকে উত্তর কোরিয়া নিয়ে ‘সময় নষ্ট না করতে’ পরামর্শ দেন। ‘পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের চেষ্টা হচ্ছে’, টিলারসনের এই মন্তব্যের পরপরই টুইটারে ওই পরামর্শ দেন ট্রাম্প। এভাবে ট্রাম্প মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাজকে ‘অবজ্ঞা’ করেছেন বলেও অনেকে মনে করছেন।
গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাইয়ে পেন্টাগনের ওই বৈঠকে পররাষ্ট্র নীতির মৌলিক বিষয়ে ট্রাম্পের ‘দখল যে এত কম’ তা নিয়ে বিস্মিত হয়েছিলেন টিলারসন। একই বৈঠকে টিলারসনের অঙ্গভঙ্গিও ট্রাম্পকে যথেষ্ট বিরক্ত করেছিল বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছিল।