কুর্দি গণভোটের ফল ‘বাতিলের’ আহ্বান ইরাকের

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকারকে স্বাধীনতা প্রশ্নে সোমবার অনুষ্ঠিত গণভোটের ফল ‘বাতিলের’ আহ্বান জানিয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Sept 2017, 03:51 PM
Updated : 27 Sept 2017, 03:54 PM

আবাদি বলেছেন, তিনি ভোটের ফল নিয়ে কখনও আলোচনা করবেন না। কুর্দিদেরকে সংবিধানের কর্মকাঠামোর আলোকে আলোচনা শুরুর আহ্বান জানান তিনি।

তাছাড়া, কুর্দিস্তান অঞ্চলের সব জায়গায় ইরাকের শাসন চাপিয়ে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আবাদি।

ইরাকের কুর্দিস্তানে স্বাধীনতার প্রশ্নে অনুষ্ঠিত গণভোটে কুর্দিরা ‘হ্যাঁ’ এর পক্ষে ভোট দিয়ে স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে বলে দাবি করেছেন ইরাকি কুর্দি নেতা মাসুদ বারজানি।

বাগদাদ সরকারের বিরোধিতা সত্বেও ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলের স্বাধীনতার প্রশ্নে সোমবার ওই এলাকায় গণভোটের আয়োজন করেছিল স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

কুর্দি নেতারা বলছেন, ভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়লাভ করলেও এটি সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষণা করা নয় বরং এর মধ্য দিয়ে তারা বাগদাদের কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বিচ্ছিন্নতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরুর ম্যান্ডেট পাবেন।

কিন্তু বুধবার ইরাকের পার্লামেন্টে এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী আবাদি জোরের সঙ্গেই বলেছেন, গণভোট নিয়ে তিনি কখনওই কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকারের (কেআরজি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না।

তিনি বলেন, “তারা আলোচনা শুরু করতে চাইলে তাদেরকে অবশ্যই গণভোট এবং এর ফল বাতিল করতে হবে।”

বাগদাদের চাপ, তুরস্ক ও ইরানের হুমকি এবং আন্তর্জাতিক সতর্কতা উপেক্ষা করেই ইরাকি কুর্দিরা কুর্দিস্তান নামে একটি স্বাধীন দেশের স্বপ্ন নিয়ে সোমবার গণভোটে নিজেদের রায় দিয়েছে।

তুস্কেরর আশঙ্কা,  উত্তর ইরাকের এ গণভোট তুরস্কের ভূখণ্ডে থাকা কুর্দিদেরও ‘বিচ্ছিন্নতার’ পথে ধাবিত করতে পারে। তুর্কি সেনাবাহিনীকে দেশের ভেতরে কুর্দি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়তেও হচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্যে চতুর্থ বৃহৎ জনগোষ্ঠী হল কুর্দি। কিন্তু তাদের স্থায়ী কোনও রাষ্ট্র কখনওই ছিল না।

ইরাকে মোট জনগোষ্ঠীর ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কুর্দি। ১৯৯১ সালে স্বায়ত্তশাসন পাওয়ার আগ পর্যন্ত কয়েক দশক ধরে তাদের দমন-নিপীড়ন করা হয়।

কুর্দিরা বলছে, ইরাক ছাড়াও ইরান, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ৩ কোটি কুর্দিকে নিয়ে তারা নতুন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

২০১৪ সালের পর ইরাকের এক তৃতীয়াংশের দখলে থাকা ইসলামি স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ের স্বীকৃতিও এই ভোট।