গাড়ি চালনার অধিকার পাচ্ছেন সৌদি নারীরা

সৌদি আরব সরকার নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে, যার মধ্যে দিয়ে তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Sept 2017, 03:49 AM
Updated : 27 Sept 2017, 01:17 PM

সৌদি প্রেস এজেন্সির বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাদশাহ সালমান মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি ফরমান জারি করেন।

সেখানে বলা হয়, নারীদের গাড়ি চালনার সুযোগ দিতে এক মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন তৈরি করবে মন্ত্রণালয়। বাদশাহর ফরমান কার্যকর হবে ২০১৮ সালের জুন থেকে।

বিবিসি লিখেছে, বিশ্বে একমাত্র সৌদি আরবেই নারীদের গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে বসার অধিকার ছিল না। বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয় কেবল পুরুষদের। এই নিষেধাজ্ঞা ভেঙে প্রকাশ্যে কোনো নারী গাড়ি চালালে তাকে জেল জরিমানার মুখেও পড়তে হয়।  

রক্ষণশীল সৌদি আরবের অধিকার সংগঠনগুলো বহু বছর ধরে নারীদের গাড়ি চালনার অধিকার চেয়ে আসছে। প্রতিবাদী হয়ে আইন ভাঙায় কারাগারেও যেতে হয়েছে কাউকে কাউকে।

সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, বাদশাহার ফরমান পাওয়ার পর এখন ট্রাফিক আইনে পরিবর্তন আনা হবে এবং নারী ও পুরুষ- সবার জন্যই ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবস্থা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালেদ বিন সালমান এই সিদ্ধান্তকে বলেছেন ‘ঐতিহাসিক’, বলেছেন, সঠিক সময়ে একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রিন্স খালেদ জানিয়েছেন, বাদশাহর এই ফরমানের পর নারীদের আর গাড়ি চালনা শেখার জন্য তাদের পুরুষ অভিভাবকের অনুমতির দরকার হবে না। সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে তারা নিজের পছন্দমাফিক গাড়ি চালাতে পারবেন।

 

এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেছেন, সৌদি আরবের জন্য এটি ‘সঠিক পথে বিশাল এক পদক্ষেপ’।

নারীদের গাড়ি চালনায় নিষেধাজ্ঞা ভাঙায় লুজাইন আল-হাতলোল নামের এক সৌদি অধিকারকর্মীকে চলতি বছর ৭৩ দিন আটক থাকতে হয়। ওই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার খবরে টুইট করে সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি।

সৌদি আরবে ‘উইমেন টু ড্রাইভ’ আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক মানাল আল শরীফকেও আইন ভাঙায় জেলে যেতে হয়েছিল। এক টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘নেভার বি দ্য সেইম এগেইন’।