শনিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোটে সব পক্ষ সর্বসম্মতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি করা নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবটির পক্ষে সমর্থন জানায়।
নতুন এই নিষেধাজ্ঞার কারণে উত্তর কোরিয়ার বার্ষিক ৩০০ কোটি ডলার রপ্তানির এক-তৃতীয়াংশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রস্তাবে উত্তর কোরিয়ার কয়লা, লোহা, লৌহ আকরিক, সিসা, সিসার আকরিক এবং সি-ফুড রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
পাশাপাশি যেসব দেশে উত্তর কোরিয়ার শ্রমিকরা কর্মরত আছে সেখানে দেশটির শ্রমিক সংখ্যা বৃদ্ধির ওপর নিষেধাজ্ঞা, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে কোনো প্রকল্প গ্রহণ এবং চলমান প্রকল্পগুলোতে নতুন বিনিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার পর জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি পরিষদকে বলেন, “আমরা সমস্যাটির সমাধান করে ফেলেছি এটি ভেবে নিজেদের বোকা বানানো উচিত হবে না আমাদের। আমরা কাছাকাছিও যাইনি। উত্তর কোরিয়ার হুমকি আমাদের ছেড়ে যায়নি, উত্তরোত্তর এটি আরো বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।
“আরো পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের নিজেদের এবং মিত্রদের রক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র দূরদর্শী প্রতিরক্ষা পদক্ষেপের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং ব্যবস্থা নেওয়া অব্যাহত রাখবে।”
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বার্ষিক যৌথ সামরিক মহড়া যুক্তরাষ্ট্র চালিয়ে যাবে বলে এ সময় জানান তিনি।
সামরিক মহড়া পরিচালনা করে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া উত্তেজনা বৃদ্ধি করছে বলে অভিযোগ উত্তর কোরিয়ার।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র বিরোধী প্রতিরক্ষা পদ্ধতি থাড মোতায়েন করায় এর তীব্র সমালোচনা করেছে চীন ও রাশিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার থাড মোতায়েন বন্ধ রাখা ও কোনো উপাদান মোতায়েন করা হলে তা সরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লিউ জিয়েয়ি।
‘উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে এমন পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার’ জন্য উত্তর কোরিয়ার প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে উত্তর কোরিয়ারা বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত হওয়ার পর শনিবার সন্ধ্যায় এক টুইটার বার্তায় এর প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি লিখেছেন, “জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার পক্ষে এই মাত্র ১৫-০ ভোট দিয়েছে। চীন ও রাশিয়াও আমাদের সঙ্গে ভোট দিয়েছে। অনেক বড় অর্থনৈতিক আঘাত!”