তার কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইএস এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ের জন্য ইরাকি বাহিনীকে অভিনন্দন জানাতে প্রধানমন্ত্রী আবাদি রোববার মসুলে গেছেন। সেখানেই তিনি মসুলকে জঙ্গিমুক্ত বলে ‘বিজয়’ ঘোষণা করবেন।
ইরাকের জনগণকেও অভিনন্দন জানাবেন আবাদি। এরপর তার একটি ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর বিমান হামলার ছত্রছায়ায় গত বছরের ১৭ অক্টোবর থেকে শহরটি পুনরুদ্ধারে অভিযান শুরু করে ইরাকি বাহিনী।
ইরাকের সুন্নি অধ্যুষিত এলাকাগুলো দখল করে ইরাক ও প্রতিবেশী সিরিয়ার দখলকৃত অংশে ‘খিলাফত’ ঘোষণার আগেই ২০১৪ সালের জুনে মসুল দখল করে নিয়েছিল আইএস।
কিন্তু নয় মাস আগে ইরাকে আইএসের সবচেয়ে বড় শক্তিকেন্দ্রটির দিকে ইরাকি বাহিনী অগ্রসর হওয়ার পর থেকে জঙ্গিরা তাদের অবস্থান হারাতে শুরু করে। অভিযানরত ইরাকি বাহিনীগুলোর মধ্যে ইরাকি সরকারি বাহিনীর পাশাপাশি কুর্দি পেশমেরগা যোদ্ধারা, সুন্নি আরব আদিবাসী ও শিয়া বেসামরিক বাহিনীগুলো উল্লেখযোগ্য।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলোর পাশাপাশি জোট বাহিনীর সামরিক উপদেষ্টারাও অভিযানে জড়িত ছিল।
শনিবার জঙ্গিরা বেপরোয়া প্রতিরোধ চালিয়ে মসুলের পুরনো শহরের ছোট একটি এলাকার দখল ধরে রেখেছিল। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ওই এলাকাটি তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসার আশা প্রকাশ করেছিল ইরাকি বাহিনী।
কয়েক মাসের তীব্র লড়াইয়ের পর কামান-বন্দুকের শব্দ সম্প্রতি অনেকটাই কমে এসেছিল। আকাশে জোট বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলোর আনাগোনা থাকলেও তারা আরে আগের মতো বোমাবর্ষণে করছিল না।
বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত ছোট কয়েকটি এলাকায় কিছু প্রতিরোধ অব্যাহত থাকলেও ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী জয় দাবি করতে শুরু করে।