শনিবার রমেশ নামে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
শুক্রবার রমেশসহ ২০ জন উন্মত্ত যুবক ছুরি নিয়ে ট্রেনের ভেতর চার মুসলিম কিশোরের ওপর হামলা চালালে জুনায়েদ খান নামে ওই কিশোর নিহত হয়। ‘গরুর মাংস বহন করছে’ এমন সন্দেহে যুবকরা হামলা চালায় বলে আহতরা অভিযোগ করেছে।
“খাবার আছে এমন একটি প্যাকেটের দিকে ইঙ্গিত করে তারা বলছিল, যতক্ষণ আমরা গরুর মাংস বহন করছি ততক্ষণ আমাদের সিটে বসতে দেওয়া হবে না। গরুর মাংস বহন করা হচ্ছে না হামলাকারীদের এটি বারবার বলার পরও তাদের এদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ ছিল না,” বলেন নিহত জুনায়েদের ভাই হাশিম।
জুনায়েদের বাবা জানান, মুসলিম পোশাকের কারণেই তার ছেলে ও তার সঙ্গীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
তবে পুলিশ বলছে, ট্রেনের সিটে বসা নিয়ে কথাকাটাকাটিকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশের এক মুখপাত্র বলেন, “ধর্মীয় কিছু বিষয় নিয়েও উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় বলে অভিযোগ পেয়েছি, এরপরই ঘটনাটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।”
গ্রেপ্তার রমেশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, ঘটনার সময় তিনি মদ্যপ ছিলেন এবং অন্যদের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে তিনি হামলায় অংশ নিয়েছেন।
ক্যামেরার সামনে দেওয়া বক্তব্যে রমেশ বলেন, “বন্ধুরা মুসলিম ছেলেদের ওপর হামলা করতে বলেছিল, কারণ তারা গরু খায়।”
ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রমেশের আরেক বন্ধুকেও আটক করা হয়েছে।
ভারতে গরুর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ না হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুরা গরুকে পবিত্র মনে করে; একারণে দেশটির বেশ কয়েকটি রাজ্যে গোহত্যা নিষিদ্ধ।
সাম্প্রতিক সময়ে এই বিষয়টি নিয়ে দেশটির কয়েকটি এলাকায় মুসলিম নাগরিকদের হত্যার মত ঘটনাও ঘটেছে।
১২০ কোটি জনসংখ্যার ভারতে ৮০ শতাংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী, মুসলমান ১৪ শতাংশ।