লড়াইয়ের স্থান থেকে মাত্তোর লাশ পাওয়ার পর শনিবার পুলিশের দেওয়া এক বিবৃতির বরাতে জানিয়েছে এনডিটিভি।
শুক্রবার বিকালে অনন্তনাগে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ওই অভিযানে ভারতীয় সেনাবাহিনী, দেশটির স্পেশাল অপারেশন গ্রুট (এসওজি) এবং সিআরপিএফ জওয়ানরা অংশ নেয়। এতে মাত্তো ছাড়াও পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠীটির আরো দুই সদস্য নিহত হয়েছে।
মাত্তো দক্ষিণ কাশ্মিরে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর চালানো বেশ কয়েকটি হামলায় জড়িত ছিল বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। দুই সহযোগীসহ সে অনন্তনাগের আরওয়ানি গ্রামে লুকিয়ে ছিল।
তাদের অবস্থানস্থল থেকে একে-৪৭ রাইফেল ও ছয়টি ম্যাগাজিনসহ তিনটি অস্ত্র উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
আরওয়ানিতে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলার সময় ঘ্টনাস্থলের দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে আসে একদল লোক। তারা পাথর ছুঁড়তে থাকলে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর বেষ্টনি ভাঙ্গার চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি ছুঁড়ে। এতে এক কিশোরসহ দুই বেসামরিক নিহত হয়।
এ ঘটনার পর কাশ্মির উপত্যকার প্রায় ডজনখানেক এলাকায় প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। এসব এলাকার মধ্যে রাজ্যের রাজধানী শ্রীনগর, ট্রল, পামপোরে, পুলওয়ামা, অনন্তনাগ, হাজিন, সোপোরে উল্লেখযোগ্য।
জঙ্গিদের নির্বিচার গুলিতে নিহত পুলিশ সদস্যদের মুখ বিকৃত হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
হামলার দায় স্বীকার করেছে লস্কর ই তৈয়বা। এটি আরওয়ানি গ্রামে চালানো অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় প্রতিশোধমূলক হামলা বলে মনে করছে পুলিশ, যে অভিযানে গোষ্ঠীটির অন্যতম নেতা মাত্তো নিহত হয়েছে।
“এটি প্রতিশোধমূলক হামলা,” বলেছেন জম্মু ও কাশ্মির পুলিশের মহাপরিচালক (ডিজিপি) এস পি ভায়িদ। এই হামলায় জড়িতদের খুঁজে বের করার প্রত্যয় জানিয়েছেন তিনি।