দক্ষিণ কোরিয়ার ইউনের অভিশংসন বিচার মুলতবি

তার আইনজীবী জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টকে আটক করতে কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করতে থাকায় তিনি আদালতে হাজির হতে পারছেন না।

ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল হাজির না হওয়ায় সাংবিধানিক আদালত অভিশংসন মামলা শুরুর শুনানি স্থগিত করেছেন।

আদালতকে ইউনের একজন আইনজীবী বলেছেন, প্রেসিডেন্টকে আটক করতে কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করতে থাকায় তিনি আদালতে হাজির হয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরতে পারছেন না।

ইউন কয়েক সপ্তাহ ধরে সিউলের একটি পাহাড়ি এলাকার সরকারি বাসভবনে অবস্থান নিয়ে আছেন। তিনি হাজির না হওয়ায় মঙ্গলবার বিচার শুরুর ৪ মিনিটের মধ্যেই শুনানি মুলতবি ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মুন ছং পে বলেছেন, যদি ওই দিনও ইউন হাজির না হন তাহলে তার আইনি দল তার প্রতিনিধিত্ব করবে আর এভাবেই বিচারের কার্যক্রম এগিয়ে যাবে।

আদালতের বাইরে ইউনের আইনজীবীদের একজন ইউন কাব-কেউন বলেছেন, বৃহস্পতিবার আদালতে স্বশরীরে উপস্থিত থাকবেন কি না, প্রেসিডেন্ট সেই সিদ্ধান্ত নেবেন তার প্রতিরক্ষা কৌশল নিয়ে আলোচনার পর।

ইউনকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হবে, সাংবিধানিক আদালতকে অবশ্যই ১৮০ দিনের মধ্যে সে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

বিদ্রোহের অভিযোগে ইউন ফৌজদারি তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন। এই তদন্তের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন জারি করা হলেও ইউন তা অগ্রাহ্য করায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ ওই পরোয়ানা বলে তাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করছে।

প্রেসিডেন্ট ইউন ৩ ডিসেম্বর হঠাৎ সামরিক আইন জারি করে সবাইকে হতভম্ব করে দেন। জনগণ ও পার্লামেন্টের চাপে প্রায় ছয় ঘণ্টা পর সামরিক আইন তুলে নিলেও দক্ষিণ কোরিয়া গভীর রাজনৈতিক সংকটে পড়ে যায়।

এই সামরিক আইন জারিকে কেন্দ্র করে ১৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্ট প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিসংশিত করে। অভিশংসিত হওয়ার পর তাকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এখন একজন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশাসনিক কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন।