‘নিখুঁত’ প্রান্তিকে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি মুনাফা লেনোভোর

প্রত্যাশার চেয়েও বেশি প্রান্তিক মুনাফা হওয়ার খবর জানিয়েছে চীনের লেনোভো গ্রুপ। বিশ্বের সবচেয়ে বড় পিসি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বাসা-থেকে-কাজ প্রবণতা ভূমিকা রেখেছে মুনাফা বাড়াতে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Nov 2020, 02:50 PM
Updated : 3 Nov 2020, 02:50 PM

করোনাভাইরাস বাস্তবতায় বাসা-থেকে-কাজ হয়ে উঠেছে নতুন স্বাভাবিক। গোটা বিশ্বে বহু প্রতিষ্ঠান তাদের জনশক্তিকে এভাবে কাজ করার সুযোগ দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পিসি এবং ট্যাবলেটের বিক্রি বাড়ায় লাভবান হওয়ার আশাও করছে বিশ্বের অনেক প্রতিষ্ঠান।

চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, গ্রুপ আয়, করপূর্ব আয় এবং নেট আয়ের নতুন রেকর্ড গড়েছে তারা। রয়টার্স উল্লেখ করেছে, ছয় প্রান্তিকের মধ্যে প্রথমবারের মতো বছর খানেক আগের তুলনায় তিনটি প্রধান ব্যবসায় শ্রেণিতেই বৃদ্ধি হয়েছে।

“গত প্রান্তিককে আমি লেনোভোর জন্য নিখুঁত একটি প্রান্তিক বলতে পারি। আশা করছি, এ প্রান্তিক আরও ভালো হবে।” – বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ইয়্যাং ইউয়ানকিঙ।

সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া প্রান্তিকটিতে লেনেভোর নেট মুনাফা বেড়েছে ৫৩ শতাংশ, সবমিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ঘরে এসেছে ৩১ কোটি ডলার মুনাফা। রেফিনিটিভ ডেটার তথ্য বলছে, পূর্বানুমান ছিল ২২ কোটি ৪০ লাখ ডলার মুনাফা হবে। প্রতিষ্ঠানটির মোট আয় সাত শতাংশ বেড়ে এসে দাঁড়িয়েছে এক হাজার চারশ’ ৫০ কোটি ডলারে।

লেনোভোর ইউয়ানকিঙ বলেছেন, “আমাদের গেইমিং পিসি এবং সরু ও ওজনে হালকা পিসি আসলে অন্যান্য অনেক পণ্য থেকে আরও দ্রুত আয় বাড়াচ্ছে।”

বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান গার্টনারের তথ্য অনুসারে, জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ঘরকেন্দ্রিক বিনোদন, শিক্ষা খাতে চাহিদা বাড়ায় বিশ্বব্যাপী ব্যক্তিগত কম্পিউটারের বিক্রি বেড়েছে ৩.৬ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের পিসি বাজার এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় উন্নতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

ইউয়ানকিঙ ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, আগামী বছরেও গোটা পিসি বাজার পাঁচ থেকে দশ শতাংশ শিল্প-পরিসরে বাড়বে।

বাজারের ২৫.৭ শতাংশের দখল নিয়ে বাজারে নেতৃত্বাধীন অবস্থান আরও দৃঢ় করেছে লেনোভো। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এইচপি, ২১.৬ শতাংশ নিয়ে, আর ডেল টেকনোলজিস ১৫.২ শতাংশ নিয়ে।

ইউয়ানকিঙ জানিয়েছেন, শতভাগ ভোক্তা চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। উপাদান সরবারহ ঘাটতি, বিশেষ করে পর্দা ও ইন্টেগ্রেটেড সার্কিটের ঘাটতি থাকায় এটি সম্ভব হচ্ছে না।

“সমস্যা চাহিদা নয়, সরবরাহ। আমরা যদি যথেষ্ট সরবরাহ ঠিক রাখতে পারি, আমরা বেশি পণ্য বিক্রি করতে পারবো।” – বলেছেন তিনি।