চীনকে সহায়তার অভিযোগ, অস্বীকারে অ্যাপল

২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান বার্নার্ডিনো গুলিবর্ষণের ঘটনায় বন্দুকধারীর আইফোন আনলক করতে এফবিআইকে সহযোগিতায় অস্বীকৃতি জানালেও ব্যবসায়িক কারণে চীনা সরকারকে একই ধরনের সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে অ্যাপলের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে মঙ্গলবার কংগ্রেসে সাক্ষ্য গ্রহণও অনুষ্ঠিত হয়। আর এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে মার্কিন এই টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি।

ইফতেখার আহমেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2016, 01:45 PM
Updated : 21 April 2016, 05:58 AM

প্রযুক্তিক্ষেত্রে সরকারি হস্তক্ষেপ প্রসংগে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার এবং সিলিকন ভ্যালির মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলতে থাকা বিবাদের ধারাবাহিকতায় এ বছরের মার্চ থেকে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অ্যাপল এবং সরকার মুখোমুখি হল।

চীনের বাজারে জায়গা করে নিতে অ্যাপল গোপনে চীন সরকারকে সহযোগিতা করছে- এমন সন্দেহ প্রকাশ করেন ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্য পুলিশের কমান্ডার চার্লস কোহেন। কিন্তু এই তথ্যের সূত্র প্রকাশ করতে ক্যালিফোর্নিয়ার একজন ডেমোক্রেট অ্যানা ইশু-এর চাপের মুখে কোহেন শুধু সংবাদ প্রতিবেদনের কথাই উল্লেখ করেন।

ইশু অনেকটা হতাশ ভংগিতেই জানান, "এটি শ্বাসরুদ্ধকর একটি ব্যাপার। এটি অনেক বড় একটি অভিযোগ।"

মঙ্গলবারের শুনানিতে অ্যাপলের উপদেষ্টা ও আইন বিভাগের প্রধান ব্রুস সোয়েইল বলেন, "আমরা এ ব্যাপারটি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, আমরা চীন সরকারের কাছে সোর্স কোড দেইনি।"

স্যান বার্নার্ডিনো মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ অ্যাপলের সোর্স কোড চেয়ে যুক্তি দেখায়। যদিও সে সময়, আইফোনের পাসকোড প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভাঙ্গতে প্রতিষ্ঠানটিকে নতুন একটি সফটওয়্যার তৈরি করতে বলা হয়েছিল।

প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা জানান, মার্কিন সরকার যদি আদালতের নির্দেশের উপর ভিত্তি করেই অ্যাপলের সোর্স কোড চাইতে পারে, তবে অন্যান্য দেশের সরকারও একই কাজ করতে পারে।

এফবিআই প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মকর্তা এমি হেস জানান, এফবিআই "বিশেষ ধরনের দক্ষতা এবং সেবার" জন্য বেসরকারি শিল্পের ওপর নির্ভরশীল, এবং এই অংশীদারিত্ব তাদের সফলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের ইন্টেলিজেন্স প্রধান টমাস গ্যালাটি জানান, তার তদন্তকারী দলটি ২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে শুরু করে ২০১৬ সালের মার্চ পর্যন্ত মোট ৬৭টি অ্যাপল ডিভাইস আনলক করতে ব্যর্থ হয়েছেন। গ্যালাটির বরাতে রয়টার্স জানায়, এ ফোনগুলো ব্যবহৃত হয়েছে ৪৪টি গুরুতর অপরাধের ঘটনায়, যার মধ্যে রয়েছে ১০টি খুন, দুইটি ধর্ষণ এবং একজন পুলিশকে উদ্দেশ্য করে গুলিবর্ষণের ঘটনা।