স্যান বার্নার্ডিনো হত্যাকাণ্ড তদন্তের স্বার্থে এফবিআই-কে সহায়তায় অ্যাপল-কে নির্দেশ দেয় মার্কিন এক আদালত, জানিয়েছে সিএনএন। ফেব্রুয়ারির ১৬ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের আদালতের এক বিচারক জানান, হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা সৈয়দ রিজোয়ান ফারুক-এর ফোনের এনক্রিপশন ভাঙতে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করতে হবে মার্কিন এই টেক জায়ান্টের।
নির্দেশে বিচারক শেরি পিম জানান, তদন্তের স্বার্থে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার যে কারিগরি সহযোগিতার প্রয়োজন পড়বে অ্যাপলকে তা অবশ্যই করতে হবে। হত্যাকাণ্ডের মূল হোতার ব্যক্তিগত ফোনটি হচ্ছে আইফোন ৫সি। ওই ফোনটি আনলক করতে আইফোনের জন্য একটি 'ব্যাকডোর' তৈরি করে দিতে আর অ্যাপলের উদ্দেশ্যে আদালত ওই নির্দেশ জারি করে। কিন্তু আদালতের নির্দেশে বেঁকে বসে অ্যাপল।
কারণ হিসেবে জানানো হয়, কেবল ওই একটি ফোন নয়, যাবতীয় বিদ্যমান আইফোনে ব্যাকডোর তৈরি করে দেওয়ার আবদার করে বসেছে এফবিআই, যেটির সুযোগ পরবর্তীতে যে কেউ নিতে পারবে।
এদিকে স্যান বার্নার্ডিনো হত্যাকাণ্ডে তিনবার গুলিবিদ্ধ হয়ে বেঁচে যাওয়া সালেহিন খন্দকারের স্ত্রী সুস্থ হয়ে গেলে সালেহিন খন্দকার ফোন আনলকের ক্ষেত্রে অ্যাপলকে সমর্থন করেন। বিচারক শেরী পিমকে লেখা একটি চিঠিতে তিনি বলেন ফোন আনলকের ক্ষেত্রে অ্যাপলের বিরোধিতার কথা শুনে তিনি প্রথমে হতাশ হলেও পরে তিনি প্রতিষ্ঠানটির ভীতির কারণটি বুঝতে পারেন। তিনি লিখেছেন, “আমি বিশ্বাস করি গোপনীয়তার প্রয়োজন আছে এবং অ্যাপলের উচিত তাদের এ সিদ্ধান্তে অটল থাকা।” তিনি আরও লিখেছেন, “আমি বা আমার স্ত্রী কেউই চাইনা আমাদের সন্তানেরা এমন এক পৃথিবীতে বাস করুক যেখানে নিরাপত্তার খাতিরে গোপনীয়তাহানি হবে।”
তার চিঠিতে প্রশ্ন করেছেন যে আদৌ কোন অর্থবহ তথ্য আক্রমণকারীর আইফোনে থাকতে পারে কিনা। কেননা আইফোনটি ফারুকের ব্যক্তিগত আইফোন ছিলনা, এটি তাকে তার কর্মক্ষেত্র থেকে দেওয়া হয়েছিল। তিনি প্রশ্ন করেছেন, “একজন কেন আক্রমণের তথ্য এমন একটা ফোনে স্টোর করবে যেটিতে সহজেই অ্যাকসেস করা যায়? আমার স্ত্রীরও এমন ফোন আছে আর সে কখনই সেই ফোনটিতে ব্যক্তিগত তথ্য রাখেনা।”
খন্দকারের এই চিঠি ছাড়াও অনেক ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান ফোন আনলক প্রসঙ্গে অ্যাপলকে সমর্থন জানিয়েছেন।