ক্লিন্সমানের চোখে ফেভারিট ব্রাজিল

জার্মানির তরুণ দলটিও কাতারে বাজিমাত করতে পারে বলে মনে করেন ১৯৯০-এর বিশ্বকাপ জয়ী এই সাবেক স্ট্রাইকার।

১৭ ম্যাচে ১৪ জয়, ৩ ড্র। হার নেই একটিও। ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ দল হিসেবে কাতারে নোঙর ফেলবে ব্রাজিল। তিতের দলকে ফেভারিট মানছেন অনেকে। সেই দলে যোগ দিলেন জার্মানির হয়ে ১৯৯০ বিশ্বকাপ জেতা ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমানও।

খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ খেলেছেন ক্লিন্সমান, জিতেছেন একটি। কোচ হিসেবে দুটি বিশ্বকাপে জার্মানির ডাগআউটে ছিলেন তিনি, কিন্তু সাফল্য পাননি। ২০০৬ বিশ্বকাপে তার অধীনে তৃতীয় হয়েছিল জার্মানরা।

২০১৪ সালে সবশেষ বিশ্বকাপ জেতা জার্মানি এবারও আছে ফেভারিটদের তালিকায়। তারুণ্যনির্ভর দলটি নিয়ে আশাবাদী ক্লিন্সমানও। তবে বাছাইয়ের দাপুটে ব্রাজিলকে ব্যক্তিগতভাবে তিনি এগিয়ে রাখছেন সবার চেয়ে।

“জার্মানির একটি খুবই ভালো তরুণ দল আছে। তারা অনেক দূর যেতে পারে, তাত্ত্বিকভাবে, তারা বিশ্বকাপও জিততে পারে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমার ফেভারিট ব্রাজিল, গত কয়েক বছর তাদের দেখে-বিশেষ করে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে তাদের অভিযান দেখে-আমার ফেভারিট ব্রাজিল।”

“তারা যেভাবে বাছাই পেরিয়েছিল, তাতে আমি ভীষণ মুগ্ধ। বিশেষ করে লাতিন আমেরিকার বাছাই সম্ভবত সব মহাদেশের বাছাইয়ের মধ্যে কঠিনতম। তারা যেভাবে ওই বৈতরণী পার হলো, তা খুবই চিত্তাকর্ষক ছিল।”

লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকেও অনেকে শিরোপার দাবিদারদের একটি মনে করছেন। একজন ফুটবলপ্রেমী হিসেবে ক্লিন্সমানের চাওয়া মেসির হাতে শিরোপা দেখার।

“অবশ্যই, আমরা যারা ফুটবল সমর্থক, তারা সবাই চায় আর্জেন্টিনার হয়ে মেসির বিশ্বকাপ জয় দেখতে। এটা নিশ্চয়ই তার (মেসির) সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। তবে, যাই হোক না কেন, আমি জানি, কাতারে একটা অসাধারণ ও নাটকীয় বিশ্বকাপ হবে।”

২০ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপে ‘ই’ গ্রুপে আছে জার্মানি। ২৩ নভেম্বর জাপানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে পথচলা শুরু করবে তারা। গ্রুপের বাকি দুই দল কোস্টা রিকা ও স্পেন।

‘জি’ গ্রুপে ব্রাজিলের সঙ্গে আছে সার্বিয়া, সুইজারল্যান্ড ও ক্যামেরুন। ২৪ নভেম্বর সার্বিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে তিতের দল।

‘সি’ গ্রুপে আর্জেন্টিনার সঙ্গী সৌদি আরব, মেক্সিকো ও পোল্যান্ড। ২২ নভেম্বর সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গ্রুপ পর্ব শুরু করবে মেসি-মার্তিনেসরা।