জিরোনাকে টপকে লিগ টেবিলে দুইয়ে ওঠার সুযোগ হারাল শাভি এর্নান্দেসের দল।
Published : 04 Mar 2024, 03:03 AM
প্রথমার্ধে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণে আধিপত্য করল বার্সেলোনা। বিরতির পর উজ্জীবিত ফুটবল খেলল আথলেতিক বিলবাও। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে লড়াই জমলেও গোলের আগল খুলতে পারল না কেউ। সমতায় শেষ হলো লড়াই।
বিলবাওয়ের মাঠ সান মামেসে রোববার রাতে লা লিগার ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে।
জিরোনাকে টপকে দুইয়ে ওঠার সুযোগ হারানোর পাশাপাশি বার্সেলোনার জন্য অস্বস্তির কাঁটা হয়ে এসেছে ফ্রেংকি ডি ইয়ং ও পেদ্রির চোট। প্রথমার্ধেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন এই দুই মিডফিল্ডার।
গত জানুয়ারিতে এই মাঠে কোপা দেল রের কোয়ার্টার-ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো লড়াইয়ে ৪-২ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছিল বার্সেলোনা।
দুই দিন আগে স্পেনের দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতাটির সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে আতলেতিকো মাদ্রিদকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ ব্যবধানের অগ্রগামিতায় ফাইনালে ওঠে বিলবাও।
চলতি লিগে গত অক্টোবরে প্রথম দেখায় ঘরের মাঠে ১-০ গোলে জিতেছিল বার্সেলোনা।
শুরু থেকে পজেশন ধরে রেখে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে বার্সেলোনা। দশম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় তারা। ইলকাই গিনদোয়ানের ফ্রি-কিকে ছয় গজ বক্সের মুখে আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেনের হেড উড়ে যায় ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে।
২৪তম মিনিটে প্রথম ধাক্কা খায় বার্সেলোনা। বল দখলের লড়াইয়ে লাফিয়ে বাজেভাবে পড়ে অ্যাঙ্কেলে চোট পান ডি ইয়ং। মাঠে চিকিৎসা নিয়েও আর খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি এই ডাচ মিডফিল্ডার। তার বদলি নামেন তরুণ স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ফেরমিন লোপেস।
৩১তম মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল সফরকারীরা। পোস্ট ছেড়ে বক্সের বাইরে এসে ফেরমিনের শট ক্লিয়ার করেন বিলবাও গোলরক্ষক উনাই সিমোন। সুযোগ বুঝে প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে উঁচু করে শট নেন জোয়াও কানসেলো। সিমোন পেছনে ফিরে হাত দিয়ে আটকে দিলেও বল জালে জড়াতে যাচ্ছিল। গোললাইন থেকে কোনোমতে ক্লিয়ার করেন ডিফেন্ডার ইয়েরে আলভারেস।
বিরতির আগে আরেকটি ধাক্কা লাগে বার্সেলোনা শিবিরে। এবার চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন পেদ্রি। ধারণা করা হচ্ছে, হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যায় ভুগছেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। তার জায়গায় নামেন ১৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড লামিন ইয়ামাল।
ছোট্ট ক্যারিয়ারে আগেও অনেকবার চোটে পড়েছেন পেদ্রি। টিভি ক্যামেরায় দেখা যায়, বেঞ্চে বসে কাঁদছেন ২১ বছর বয়সী ফুটবলার।
এই মৌসুমে লিগে ২৭ ম্যাচের ২২টিতেই প্রতিপক্ষকে প্রথমার্ধে গোল করতে দিল না বিলবাও।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে চলতে থাকে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ। তবে কোনো গোলরক্ষককে সত্যিকারের পরীক্ষায় ফেলতে পারছিল না কেউই।
৬৬তম মিনিটে প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জে ইয়ামাল বক্সে পড়ে গেলে পেনাল্টির আবেদন করে বার্সেলোনা। তবে রেফারির সাড়া মেলেনি। পরে ভিএআরের সাহায্যেও আগের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন তিনি।
বাকি সময়ে কিছু হাফ চান্স পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি কেউ।
২৭ ম্যাচে ১৭ জয় ও ৭ ড্রয়ে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে দুইয়ে জিরোনা। শীর্ষে রেয়াল মাদ্রিদের ৬৬ পয়েন্ট।
৫০ পয়েন্ট নিয়ে বিলবাও আছে পাঁচে। চারে থাকা আতলেতিকোর চেয়ে ৫ পয়েন্টে পিছিয়ে আছে তারা।