আমার সমস্যা আছে, তবে কোচের সঙ্গে নয়: এমবাপে

পিএসজি ছাড়ার অপেক্ষায় থাকা ফরোয়ার্ড বললেন, কোচের সঙ্গে তার বিরোধের গুঞ্জন সত্যি নয়।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 March 2024, 06:23 AM
Updated : 6 March 2024, 06:23 AM

মৌসুম শেষে কিলিয়ান এমবাপের পিএসজি ছেড়ে যাওয়াটা এখন একরকম নিশ্চিতই। কোচ লুইস এনরিকের সঙ্গে তার বিরোধ নিয়েও নানা গুঞ্জন ডালপালা মিলছিল। তবে এমবাপে নিজেই এবার উড়িয়ে দিলেন সেসব খবর। সমস্যা যে কিছু আছে, তা এড়িয়ে গেলেন না ফরাসি তারকা। তবে এটিও তিনি পরিষ্কার করে দিলেন, কোচের সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব নেই।

এমবাপের দুই গোলে মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে রেয়াল সোসিয়েদাদকে হারিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনাল নিশ্চিত করে পিএসজি।

এই ম্যাচের আগে ক্লাবের সবশেষ তিন ম্যাচে এমবাপেকে পুরো সময় খেলাননি কোচ। লিগ ওয়ানের সবশেষ ম্যাচে তো মাঝবিরতিতেই তাকে তুলে নেওয়া হয়। এই তারকা পরে গ্যালারিতে মায়ের সঙ্গে বসে খেলা দেখেন। বারবার তুলে নেওয়া নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট নন বলেও খবর বেরোয় নানা সংবাদমাধ্যমে।

বারবার তাকে তুলে নেওয়া ও কোচ এনরিকের নানা কথার সূত্রেই দুজনের বিরোধের গুঞ্জন ছড়াতে থাকে। কোচ কয়েকবারই বলেছেন, এমবাপেকে ছাড়া মানিয়ে নিতে শিখতে হবে তাদের।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের লড়াইয়ে অবশ্য পুরো সময়ই মাঠে রাখা হয় এমবাপেকে। কোচের সঙ্গে ঝামেলার প্রসঙ্গে ম্যাচের পর তার সাফ জবাব, “লোকে যদি মনে করে যে কোনো সমস্যা চলছে, তাহলে বলতে চাই, তার সঙ্গে কোনো সমস্যা নেই। আমার সমস্যা আছে, কোচের সঙ্গে নয়।”

কোচ এনরিকের কণ্ঠেও একই কথার প্রতিধ্বনি। বরং এমবাপের প্রশংসায় তিনি ছিলেন উচ্চকিত।

“কোনো ফুটবলারের সঙ্গেই আমার কোনো সমস্যা নেই। যে কোনো কোচের সঙ্গে খেলেই সে মৌসুমে ৫০ গোল করতে পারে, ২৫ গোলে সহায়তা করতে পারে।”

“আমার মতে, আক্রমণভাগে সে বিশ্বের সেরা ফুটবলার, বলা যায় অপ্রতিরোধ্য। আজকেও দেখিয়েছে, প্রয়োজন পড়লে সে বল ধরে রাখতে পারে এবং এরপর উন্মুক্ত মাঠে আক্রমণ করতে পারে।”

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল পিএসজি। তবে গত দুই মৌসুমে এই পর্যায় থেকেই বিদায় নেওয়া ক্লাবটি এবার ছিল সতর্ক। শেষ পর্যন্ত কোয়ার্টার-ফাইনালের মঞ্চে উঠতে পেরে এমবাপে উচ্ছ্বসিত।

“বরাবরই আমরা জানতাম যে নিশ্চিন্ত থাকার উপায় নেই (২-০তে এগিয়ে থাকলেও)। ওরা যদি শুরুতে গোল পেয়ে যেত, নিজেদের দর্শক সমর্থন পেয়ে আরও জোর দিতে পারত। আমাদের জন্য তাই জরুরি ছিল শুরুতেই ওদের আশা শেষ করে দেওয়া।”

“সেটিই আমরা করেছি। আমরা কোয়ালিফাই করতে চেয়েছিলাম এবং জিততেও চেয়েছিলাম। আমাদের পরিকল্পনা ছিল পরিষ্কার, শুরুতে গোল করতে হবে। খুব বেশি চাপে তাই আমাদের পড়তে হয়নি, শেষ দিকে একটু হয়েছে। কোয়ার্টার-ফাইনালে ফিরতে পেরে আমরা খুবই খুশি।”