ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গোলের রেশ ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই এন্দ্রিকের আরেকটি গোল। এবার স্পেনের বিপক্ষে। আগেরটির চেয়ে এই গোল আরও দর্শনীয়। এই ম্যাচে অবশ্য জিততে পারেনি ব্রাজিল। তবে এন্দ্রিকের প্রতিভার তেজ বোঝা গেছে আরও তীব্রভাবে। ম্যাচের পর তার মানসিকতার প্রতিফলন পড়ল প্রতিক্রিয়াতেও। ব্রাজিলের ‘বিস্ময় বালক’ বললেন, চেষ্টার কোনো কমতি তারা কখনোই রাখবেন না।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এন্দ্রিকের গোলে জিতেছিল ব্রাজিল। স্পেনের বিপক্ষে তার গোল দলকে ফেরায় সমতায়। পরে আবার পিছিয়ে পড়েও শেষ মুহূর্তের গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
মাদ্রিদে মঙ্গলবার সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের লড়াই ড্র হয় ৩-৩ গোলে।
রদ্রি পেনাল্টি ও দানি ওলমোর দুর্দান্ত গোলে ৩৬ মিনিটের মধ্যে ২-০তে এগিয়ে যায় স্পেন। পরে রদ্রিগো ফিরিয়ে দেন একটি গোল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে একসঙ্গে চারটি পরিবর্তন আনেন ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র। সেই পরিবর্তনের অংশ হয়েই মাঠে নামেন এন্দ্রিক। মিনিট পাঁচেকের মধ্যে ভলি থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান এন্দ্রিক।
পরে ৮৭তম মিনিটে আরেকটি পেনাল্টি থেকে স্পেনের জয়ের আশা জাগান রদ্রি। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষে যোগ করা পাঁচ মিনিটের যখন আর ১০ সেকেন্ড বাকি, তখন পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। গোল করতে ভুল করেননি লুকাস পাকেতা।
ম্যাচ শেষে আলোচনার কেন্দ্রে যথারীতি এন্দ্রিক। ১৭ বছর বয়সেই ইংল্যান্ড ও স্পেনের মতো প্রতিপক্ষের সঙ্গে গোলের স্বাদ পেয়ে গেলেন তিনি। আগামী জুলাই থেকে রেয়াল মাদ্রিদের হয়ে যে মাঠ হবে তার ঘরের আঙিনা, সেই সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে গোল করে ফেললেন তিনি প্রথম বিচরণেই। সব মিলিয়ে আলো এখন তাকে ঘিরেই।
দলের নবীন সদস্য হলেও ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের মানসিকতা যে হৃদয়ে গেঁথে গেছে এন্দ্রিকের, তা ফুটে উঠল ম্যাচ শেষে তার কথায়।
“আমরা সবসময়ই জিততে চাই। আমরা ব্রাজিল, নিজেদের ঐত্যিহকে সম্মান করার জন্য হলেও সবসময় জেতা প্রয়োজন আমাদের।”
“আমরা এমন প্রতিশ্রুতি দিতে পারছি না যে সব ম্যাচেই জিতব। তবে আমাদের নিবেদন, চেষ্টা, প্রতিজ্ঞা ও দৃঢ়তায় কখনও কোনো ঘাটতি থাকবে না। কোনো কিছুরই ঘাটতি রাখতে চাই না আমরা।”