প্রতিপক্ষের মাঠে রোববার রাতের ম্যাচটিতে সুযোগ নষ্টের মিছিলে মাউরো ইকার্দির জোড়া গোলে ২-০ ব্যবধানে জেতে পিএসজি। পুরো ৩ পয়েন্ট মিললেও তাই খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে খুশি হতে পারছেন না টুখেল।
ম্যাচের পর কোনো রাখঢাক না করেই মাঝমাঠের আশেপাশে নেইমারের ঘোরফেরা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। যেখানে আগে থেকেই টুখেল বারবার বলেছেন, তার আক্রমণের পরিকল্পনার মূল নেইমার-এমবাপে জুটি।
“সে এমনভাবে খেলছিল যেন সে মাঝমাঠের খেলোয়াড়, যেখানে তাকে দলের নেতা হিসেবে দরকার। এমন পরিকল্পনা ছিল না, খেলার ধরন হয়ে পড়েছিল খুবই রক্ষণাত্মক।”
“পরিকল্পনা ছিল নেইমারকে এমবাপের কাছাকাছি রাখা। আমরা আক্রমণাত্মক ধরণ সাজিয়েছিলাম। আমরা এমন কিছু চেষ্টা করেছি এবং দলের প্রতি আমার আস্থা অনেক।”
পরে অবশ্য টুখেল জানান, নেইমারকে নিয়ে আপাতত তার মূল ভাবনা জুড়ে আছে ডিসিপ্লিনারি কমিটির সিদ্ধান্ত। মার্সেইয়ের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ দিকে প্রতিপক্ষের আলভারো গনসালেসের মাথার পেছনে হাত দিয়ে আঘাত করায় লাল কার্ড দেখেছিলেন তিনি এবং পরে নিষিদ্ধ হন দুই ম্যাচের জন্য।
পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গনসালেসের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ তোলেন নেইমার এবং তদন্তের জন্য কর্তৃপক্ষকে ভিএআর ব্যবহার করার আহ্বান জানান। সেই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন গনসালেস। তদন্ত শেষে আগামী বুধবার সিদ্ধান্ত জানাবে কর্তৃপক্ষ।
রাঁসের বিপক্ষে যেন সুযোগ নষ্টে মেতে উঠেছিল এমবাপে-নেইমাররা। তাই অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখে চাপ ধরে রাখলেও আগেভাগে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন টুখেল।
“আমরা অনেক সুযোগ পেয়েছিলাম এবং প্রায় ৭০ শতাংশের মতো সময় বল দখলে রেখেছিলাম। ৩০ মিনিটে আমরা যদি ৩-৪টা সুযোগ কাজে লাগাতে পারতাম, তাহলে এখন ভিন্ন পর্যালাচনা হতো।”
“আমরা অনেক সুযোগ নষ্ট করেছি। কার্যকারিতার ঘাটতি ছিল। এমনটা হতে পারে না। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা পূর্ণ মনোযোগী ছিলাম, না।”
লিগ শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে প্রথম দুই ম্যাচে হারের পর টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে আছে পিএসজি। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রেন।