বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’

পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার গ্রামের বাড়িতে ‘আত্মহত্যার চেষ্টা’ করা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

শুক্রবার সকালে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই ছাত্রী মারা যান বলে কোতয়ালী মডেল থানার এসআই মাজেদুল ইসলাম জানিয়েছেন।

মারা যাওয়া অর্পনা দাস বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ষষ্ঠ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার সোনামুখি এলাকার শ্যামল দাসের মেয়ে।

লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরিকারী এসআই মাজেদুল পরিবারের সদস্যদের বরাতে বলেন, মেহেন্দিগঞ্জের গ্রামের নিজ বাসায় বৃহস্পতিবার বিকালে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ওই ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

টের পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে তিনি মারা যান।

হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ছাত্রীর লাশ হাসপাতালে আছে।

মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি ইয়াসিনুল হক বলেন, “পরিবার থেকে থানায় কেউ কিছু জানায়নি। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি কল করে বিষয়টি জানিয়েছে। বাসায় গিয়ে কাউকে পাইনি।”

বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানার ওসি বিপ্লব কুমার মিস্ত্রি বলেন, “কি কারণে আত্মহত্যা করেছে পরিবার জানাতে পারেনি। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।”