গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতাকে ‘হাতুড়ি পেটা’, সড়ক অবরোধ

এতে টুটুলের বাম হাত ও বাম পায়ে আঘাত লাগে। বাঁচাতে গিয়ে তার ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ও এক সহকারীও আহত হন।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Jan 2024, 02:25 PM
Updated : 30 Jan 2024, 02:25 PM

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রতিবাদে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে এক ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। হামলার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।

মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরের কাছে এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন বলে মুকসুদপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান।

আহত ৫৫ বছর বয়সী সাহিদুর রহমান টুটুল মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নের দাশের কান্দি গ্রামের গোলাম সারোয়ার রতন মিয়ার ছেলে। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

আহত বাকিরা হলেন-টুটুলের ব্যক্তিগত মাইক্রোবাসের চালক একই উপজেলার চরপ্রশন্নদী গ্রামের ফজর আলী শেখের ছেলে আয়নাল শেখ (৩৮) এবং ওই গ্রামের হাবিবুর রহমান খানের ছেলে সহযোগী এনামুল খান (২৫)।

মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রায়হান ইসলাম শোভন জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক টুটুল আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আরিফুজ্জামান বলেন, সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে যোগ দেন টুটুল। সেখান থেকে দাপ্তরিক কাজে উপজেলা পরিষদে যাওয়ার সময় একদল ব্যক্তি পেছন থেকে হাতুড়ি নিয়ে আক্রমণ করে তাকে এলোপাতাড়ি পেটায়।

“এতে টুটুলের বাম হাত ও বাম পায়ে আঘাত লাগে। এ সময় ঠেকাতে গেলে আয়নাল ও এনামুল আহত হন।”

তিনি বলেন, এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা বিকাল ৪টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মুকসুদপুর বাসস্ট্যান্ড এবং ঢাকা-বরিশাল মহাসড়‌কের রাঘ‌দী এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় সড়ক দুইটির উভয় পাশে প্রায় চার কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়; আটকা পড়ে শত শত গাড়ি।

“বিকাল ৫টার দিকে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন গিয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন।”

ওসি আশরাফুল জানান, খবর পেয়েই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে; ততক্ষণে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য এবং সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে জড়িতদের সনাক্ত করার কাজ চলছে।