শুক্রবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার মোকামতলা বন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
৩২ বছরের আলাউদ্দিন পঞ্চগড়ের আটোয়ারি উপজেলার ছোটধাপের বাসিন্দা এবং বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় তিনি চার নম্বর আসামি।
শিবগঞ্জ থানার ওসি দীপক কুমার দাস জানান, বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় আলাউদ্দিন যাবজ্জীবন সাজার আসামি। রায় ঘোষণার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলায় পালিয়ে বেড়াতেন তিনি।
ওসি বলেন, “ছাত্রাবস্থায় আলাউদ্দিনের সঙ্গে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মেয়ের সম্পর্ক ছিল। পলাতক অবস্থায় গোপনে বিয়ে করে চট্টগ্রামে বসবাস করছিলেন তারা। সেখানে তারা চাকরিও করতেন।”
ওসি আরও জানান, আলাউদ্দিনের স্ত্রীর বাড়ি শিবগঞ্জের মোকামতলা বন্দরে। ঈদের ছুটিতে তিনি শ্বশুরবাড়িতে আসেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি দীপক কুমার বলেন, “আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে যেহেতু পঞ্চগড়ের অটোয়ারী থানায় ওয়ারেন্ট ছিল তাই ওই থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। আজই তাকে হস্তান্তর করা হবে।”
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকার সুত্রাপুরের বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যা মামলায় পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ রায় দেন। রায়ে ২১ আসামির মধ্যে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়।
পরে মামলাটি হাইকোর্টে গেলে ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট আটজনের মধ্যে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আদালত। বাকি ছয়জনের মধ্যে চারজনকে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়। দুজনকে খালাস করে দেয় আদালত।
এ ছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া ১৩ আসামির মধ্যে দুজন খালাস পান। অপর ১১ জনের যাবজ্জীবন বহাল থাকে বলে জানান ওসি।