শ্যালিকাকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

গোপালগঞ্জে শ্যালিকাকে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলায় এক ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। 

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Feb 2022, 04:02 PM
Updated : 18 Feb 2022, 04:02 PM

বৃহস্পতিবার রাতে মুকসুদপুর থানা পুলিশ নাঈম কাজী (২৪) নামের এই যুবককে গ্রেপ্তার করে।

শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয় বলে মুকসুদপুর থানার ওসি মো. আবু বকর মিয়া জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার নাঈম কাজী সরকারি মুকসুদপুর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি মুকসুদপুর উপজেলার প্রভাকরদী গ্রামের মোশারফ কাজীর ছেলে।

মামলার বরাতে ওসি আবু বকর বলেন, গত ২১ জানুয়ারি শুক্রবার ছাত্রলীগ নেতা নাঈম কাজীর সন্তানসম্ভাবা স্ত্রী মুকসুদপুর উপজেলা সদরে একটি ক্লিনিকে আসেন। তার সঙ্গে তার শ্যালিকাও আসেন।

“সেখান থেকে নাঈম তার তিন সহযোগী লুৎফর কাজী, জসিম মুন্সি ও এমদাদুল হকের সহযোগিতায় শ্যালিকাকে ফুসলিয়ে অপহরণ করেন এবং অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন।” 

ওসি জানান, এই ঘটনায় ওই তরুণীর বাবা নাঈমকে প্রধান আসামি করে চার জনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গোপালগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি পিটিশন দায়ের করেন। ছাত্রলীগ নেতার শ্যালিকা শুক্রবার বিকালে গোপালগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তানিয়া সুলতানার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

“বিচারক পিটিশনটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে মুকসুদপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন এবং আদেশ পেয়ে বৃহস্পতিবার মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়।”

গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে ওসি জানান।

ওসি আরও জানান, আদালতে তোলার পর ছাত্রলীগ নেতার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন নাকচ করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেয়। বিকালে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্যা বলেন, সরকারি মুকসুদপুর কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম কাজীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অপরাধের বিষয়টি প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমনকি তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে।