ঝালকাঠি শহরের বড়বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা ফরিদ হোসেন সোমবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে তার বড় ভাই ফারুক হোসেন অসুস্থ হন। তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
“সে সময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তমাল হালদার ও ব্রাদার সমর চক্রবর্তী বলেন, ‘ফারুক উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন।’ কিন্তু তারা ফারক হোসেনকে চিকিৎসা না দিয়ে অনেকক্ষণ হাসপাতালে বসিয়ে রাখেন। অনুরোধ করা হলে চিকিৎসক ও ব্রাদার রোগীর স্বজনদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। পরে তারা ফারুক হোসেনকে প্রাথমিক চিকিৎসা না দিয়েই বরিশালে রেফার করেন।”
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর ফারুকের মৃত্যু হয় বলে জানান ফরিদ হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে ফারুক হোসেনের বাবা মো. লাল মিয়া, বড় বোন জোছনা বেগম, ভগ্নিপতি নূর ইসলাম, শ্বশুর আবু বিশ্বাস ও ফারুকের দুই শিশুমেয়ে উপস্থিত ছিলেন।
জোছনা বলেন, ফারুক হোসেনের স্ত্রী চার বছর আগে দুটি শিশুমেয়ে রেখে মারা যান। মেয়েদের দেখাশুনা করতেন বাবা ফারুক। বাবারও মৃত্যু হল। মেয়ে দুটি এতিম হয়ে গেল।
তারা এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।
অভিযোগ বিষয়ে চিকিৎসক তমাল হালদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।