রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি হাসিবুর রহমানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে রেজিস্টারকে চিঠি দিয়েছেন বিভাগের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. আবু সাঈদ।
আবু সাঈদ চিঠিতে দাবি করেছেন, হাসিবুর রহমান স্বাক্ষরিত চেক দিয়ে, তার নির্দেশে, অগ্রণী ব্যাংক গোপালগঞ্জ শাখা থেকে দুই লাখ ৫০ পঞ্চাশ হাজার টাকা তুলে তাকে দেন সাঈদ।
“কিন্তু টাকাটা আমি নিয়েছি এই মর্মে সভাপতি আমাকে দায় স্বীকার করতে চাপ দেন। আমাকে চাকরিচ্যুত করার ভয় দেখান সভাপতি। ফলে প্রথমে আমি দায় স্বীকার করি।”
পরে ওই টাকা ফেরত দেওয়া হয় ব্যাংকে। কিন্তু ঘটনার দায় নিয়ে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েন সাঈদ। অবশেষে গত ৮ নভেম্বর রেজিস্টার বরাবর চিঠি দিয়ে ন্যায় বিচার চান সাঈদ।
একই অভিযোগে রেজিস্টার বরাবর আরেকটি চিঠি দিয়েছেন ওই বিভাগের ডেটা এনট্রি অপারেটর রাসেল মিয়া।
রাসেলের অভিযোগ, চেকে তার নাম ব্যবহার করে একই ব্যাংক থেকে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা তোলা হয়েছে।
“এ ঘটনায় বিভাগ থেকে আমাকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। মানহানিকর অবস্থার মধ্যে ফেলা হচ্ছে।”
এই চেকেও বিভাগের সমভাপতি হাসিবুর রহমানের স্বাক্ষর রয়েছে বলে রাসেলের দাবি।
তবে হাসিবুর রহমান টাকা তোলেননি বলে দাবি করেছেন এবং সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
হাসিবুর বলেন, “আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি কোনো টাকা তুলিনি বা কাউকে তুলতে বলিনি। আমি অফিস সহকারীকে কোনোরূপ ভয়ভীতি প্রদর্শন করিনি।”
ব্যাংক থেকে টাকা তোলা সম্পর্কে তিনি বলেন, “চেক জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা তোলা হয়। তবে পরে উত্তোলনকারী টাকা ফেরত দেন।”
উত্তোলনকারীর নাম বলতে পারেননি তিনি।
ঘটনা তদন্তে কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রধান প্রক্টর রাজিউর রহমান।
প্রক্টর বলেন, “তদন্ত কমিটি কাজ শেষ করেছে। কিন্তু পরে নতুন একটি চিঠি সামনে আসায় বিষয়টি নিয়ে পুনরায় তদন্ত করা হবে।”
চিঠি পর্যালোচনা করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. মোরাদ হোসেন।