শহরের বীণাপাণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এই শিক্ষার্থীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় মঙ্গলবার [২১ সেপ্টেম্বর]।
এর আগে কোটালীপাড়ায় ৩য় শ্রেণির এক ছাত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়।
বীণাপাণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিশিক্ষক মনিমুল হক বলেন, করোনা সংক্রমণের কারণে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খোলে। ওইদিন অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে এই শিক্ষার্থীও বিদ্যালয়ে আসে। দুদিন পর [১৪ সেপ্টেম্বর] তার শরীরে করোনার উপসর্গ ছিল না।
“১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সে স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়। ২১ সেপ্টেম্বর তার মা আমাকে ফোনে তার মেয়ের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান।”
মেয়েটির মা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে মেয়েকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুলে পাঠাই। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেই। ১৬ তারিখে তার জ্বর অনুভূত হয়। ২১ তারিখে তার নমুনা স্বাস্থ্য বিভাগে পাঠাই। ওইদিনই তার করোনা শনাক্ত হয়।”
এরপর তাকে গোপালগঞ্জ জেলারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করেন বলে জানান তিনি।
“দুই দিন অক্সিজেন দেওয়া পর তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আমাদের পরিবারে অন্য কোনো সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়নি,” বলেন তিনি।
বীণাপানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার বলেন, “আমরা সার্বক্ষণিক তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখছি। এছাড়া মোনালিসা যে কক্ষে ক্লাস করেছিল সেই কক্ষটি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বন্ধ করে দিয়েছে।”
বাকি সব শ্রেণির ক্লাসগুলো স্বাভাবিক নিয়মেই চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “অন্য কোনো শিক্ষার্থীর মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা যায়নি। আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়মিত তাপমাত্রা মেপে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করাচ্ছি।”
সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুবাইয়া ইয়াসমিন বলেন, “বীণাপাণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরে আমরা ওই বিদ্যালয়টির দ্বিতীয় তলায় ২০১ নম্বার কক্ষ বন্ধ করে দিয়েছি।”
গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, “আক্রান্ত ওই শিক্ষার্থী বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। আমরা তাকে করোনার চিকিৎসা দিচ্ছি। বর্তমানে সে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডের চিকিৎসাধীন আছে।”
এর আগে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা ফেরধরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়। তাকে নিজ বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।