বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি আহসান হাবিব বলেন, নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর ২৬ এপ্রিল থেকে ১৪মে পর্যন্ত কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশনের অনাপত্তিপত্র (এনওসি) নিয়ে তারা দেশে ফেরেন।
“এদের মধ্যে করোনাভাইরাস পজেটিভ ছিল ১২ জনের। অপরদিকে বাংলাদেশে আটকা পড়াদের মধ্যে ২৮০ জন ভারতীয় দেশে ফিরে গেছেন।”
যশোর ও বেনাপোলের ২৯টি হোটেল এখন কোয়ারেন্টিন সেন্টার। এ হোটেলগুলোসহ বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ও অন্যান্য স্থানে শুক্রবার পর্যন্ত মোট ৪৪৫ জন ভারত থেকে আসা মানুষ কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
এছাড়া যশোরের আশপাশের চার জেলার হোটেলগুলোও কোয়ারেন্টিন সেন্টার করা হয়েছে। জেলাগুলো হল- সাতক্ষীরা, খুলনা, ঝিনাইদহ ও নড়াইল।
যশোর ও বেনাপোলের হোটেলগুলোতে জায়গা না হওয়ায় ভারত ফেরত অনেককে এসব জেলায় পাঠানো হয়েছে।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.ইউসুফ আলী বলেন, যারা করোনা আক্রান্ত বা উপসর্গ নিয়ে দেশে ফিরছেন তাদেরকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে পাঠানো হচ্ছে।
“১০মে থেকে ১৪মে পর্যন্ত ১৪দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন শেষে বাড়ি ফিরেছেন ৬৩১ জন।”
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ সরকার ভারতের করোনাভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট সংক্রমণ রোধে ২৬ এপ্রিল থেকে দুই সপ্তাহের জন্য ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।পরে আরও দুই সপ্তাহ এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে কোয়ারেন্টিন শেষে ভারত ফেরতদেরকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বিদায় জানানো হয় এবং তাদের গাড়ির ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হয় বলে জানান শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা।