সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে দ্বিতীয় দিনের বিক্ষোভ শেষে এই ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও গতবছর ১৭ মার্চ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর অনলাইনে ক্লাস শুরু হলেও শিক্ষার্থীদের হলে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এ পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রাবাস খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আগামীকাল হল খোলা প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সাথে ইউজিসির বৈঠক রয়েছে এবং আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ’মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের’ স্টিয়ারিং কমিটির নির্বাচন রয়েছে।
এই কারণে দুই দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করা হল; তবে আগামী মার্চের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ করবে বলে ঘোষণায় জানানো হয়।
এই সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী খাইরুল ইসলাম দুখু বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমরা ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছি। আর করোনার কারণে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থাও অনেকটা নাজুক হয়ে গেছে। ফলে আর আমাদের মেসে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা ক্লাসে ফিরতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “প্রক্টর স্যার আমাদেরকে আশ্বস্থ করেছেন ২৩ ফেব্রুয়ারি ইউজিসি দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে। আমরাও আশা করছি সেখানে তারা ফেব্রুয়ারির মধ্যে হল খোলার একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।”
এর আগে বেলা ১১টার দিকে হল খোলার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে এই বিক্ষোভ শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে প্রক্টর এসে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করার পর তিনি সেখানে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে আশ্বস্ত করেছেন।
খুব শীঘ্রই সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।