বৃহস্পতিবার সকালে জেলার হুলারহাট লঞ্চঘাট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম বাদল জানান।
রুবেল (৩২) পিরোজপুর শহরের মধ্যরাস্তা এলাকার আসলাম শেখের ছেলে।
রুবেলের প্রথম স্ত্রী শেখ সাজিয়া আফরিন শাম্মী বলেন, ২০১২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পারিবারিকভাবে তার সঙ্গে রুবেলের বিয়ে হয়; তাদের সংসারে দেড় বছর বয়সী একটি ছেলেও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক হিসেবে বিভিন্ন সময় নগদ টাকা, আসবারপত্র ও মোটরসাইকেল তার স্বামীকে দিয়েছে তার পরিবারের লোকজন। এরপরও সম্প্রতি রুবেল ও তার মা জাকিয়া বেগম ২৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে তাকে নানাভাবে চাপ দিতে থাকে।
শাম্মীর ভাষ্য, যৌতুকের টাকা না দিতে পারায় রুবেল ও তার বাড়ির লোকজন তাকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন শুরু করে এবং এক পর্যায়ে তাকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
বিষয়টিপারিবারিক ভাবে সমঝোতার চেষ্টা করলেও শ্বশুড়বাড়ির লোকজন সেটা না মেনে নেয় নি।পরে এ বছরের ১৫ জুলাই তিনি নিজে বাদী হয়ে খুলনা আদলতে স্বামী ও শাশুড়িকে আসামি করে যৌতুক ও নির্যাতন মামলা দায়ের করেন।
সাজিয়া বলেন, তিনি পরে জানাতে পারেন রুবেল যৌতুকের লোভে এ বছরের শুরুর দিকে তার অনুমতি না নিয়েই যশোর এলাকার একটি মেয়েকে বিয়ে করেছেন। এ বিষয়ে কিছু বলতে গেলে তার বাবার পরিবারের লোকজনকে রুবেল নানাভাবে হুমকি দিতো।
এ বিষয়ে ওসি নুরুল বলেন, স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় ছাত্রদল নেতা রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।