সোমবার এ মামালায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জামালপুর সদর থানার ওসি মো. সালেমুজ্জামান জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১২টায় জামালপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জামাল পাশা বাদী হয়ে সদর থানায় ১৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
“এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।”
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রফিক (৫০), খোরশেদ আলম (২৫), জীবন (২৩), আমির আলী (৩৫) ও সলিমুদ্দিন (২৮)।
মামলায় কাউন্সিলর জামাল পাশা অভিযোগ করেন, রোববার ত্রাণবাহী ট্রাক ৬নং ওয়ার্ডের বানিয়াবাজার যাওয়ার পথে পৌরসভার মুকুন্দবাড়ি এলাকায় সেটি আটকে ত্রাণের ৪০০ প্যাকেট চাল ও আলু ‘লুটের ঘটনা ঘটে।’ এ সময় সেখানে উপস্থিত কাউন্সিলর জামাল পাশাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারতে আসে বলে মামলায় অভিযোগ করেন বাদী।
ওসি সালেমুজ্জামান জানান, অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জামালপুর পৌরসভার ২, ৪ ও ৬নং ওয়ার্ডের জন্য ১০ কেজি করে চাল ও ৩ কেজি করে আলুর ৬০০ প্যাকেট নিয়ে গত রোববার ট্রাকটি যাচ্ছিল শহরের বানিয়া বাজারে ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল পাশার কার্যালয়ে।
বেলা ১২টায় ট্রাকটি মুকুন্দবাড়ি এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানার বাসভবনের সামনে পৌঁছলে পথেই জনগণ আটক করে এটিকে।
পরে মুকুন্দবাড়ি, পালপাড়া ও বজ্রাপুর এলাকার কর্মহীন মানুষ ৪০০ প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী হুড়োহুড়ি করে নিয়ে যান। মুকুন্দবাড়ি, পালপাড়া ও বজ্রাপুর এলাকার কর্মহীন মানুষ আগে থেকে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।
জামালপুর পৌরসভার মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি রোববার দাবি করেছিলেন ত্রাণ সামগ্রী লুট হয়নি, ৬নং ওয়ার্ডের কর্মহীন মানুষের মাঝে ট্রাক থেকেই বিতরণ করা হয়েছে এসব ত্রাণ।