দিরাই থানার ওসি কে এম নজরুল জানান, সোমবার রাতে তুহিনের মা মনিরা বেগম অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
রোববার শেষ রাতে দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল বাসিতের ছেলে তুহিন মিয়াকে (৫) হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখে অজ্ঞাত খুনিরা।
খোঁজাখুঁজির পর বাড়ি থেকে কিছু দূরে মসজিদের পাশে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধারের সময় শিশুটির পেটে দুইটি ছুরি গাঁথা ছিল। তার কান ও লিঙ্গও কেটে নেয় হত্যাকারীরা।
পরে সন্ধ্যায় দিরাই থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, তারা তুহিন হত্যায় পরিবারের ২/৩ জন সদস্যের সম্পৃক্ততা পেয়েছেন।
দিরাই থানার এসআই রুপক কর্মকার বলেন, তুহিনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের পর রাতেই তার দাফন করা হয়েছে।
এদিকে তুহিন হত্যাকাণ্ডে পুলিশ পরিবারের সম্পৃক্ততা পেলেও তাদের কাউকে কেন মামলায় আসামি দেখানো হয়নি জানতে চাইলে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।