সোমবার ভোরে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার এলাকায় গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে বলে বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফয়সল হাসান খান জানান।
নিহতরা হলেন উখিয়ার কুতুপালংয়ের ২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি-ব্লকের হায়দার শরীফের ছেলে নুরুল ইসলাম (২৭) ও হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াবাজার সাতঘরিয়া পাড়ার জলিল আহমদের ছেলে দেলোয়ার হোসেন দিলু (৩০)।
বিজিবি বলছে, নিহতরা ‘সংঘবদ্ধ মাদক পাচারকারি চক্রের’ সদস্য ছিল এবং তারা দীর্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে টেকনাফ ও উখিয়া থানায় একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে।
ফয়সাল বলেন, মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় একটি চালান আসার খবরে বিজিবি সমস্যারা ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে মিয়ানমার থেকে আসা ২/৩ জন লোক এবং নদীর এ পাড়ে অবস্থান করা কয়েকজন লোক পরস্পরকে ছোট বস্তা ভর্তি কিছু একটা হস্তান্তর করে।
“এ সময় তাদের থামার জন্য সংকেত দেওয়া হলে তারা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি করে। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।”
এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ২০ হাজার ইয়াবা, দুইটি দেশীয় বন্দুক, চারটি গুলি ও দুইটি কিরিচ দা বুদ্ধার করা হয় বলে বিজিবির এ কর্মকর্তার ভাষ্য।