এনজিওকর্মী আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী (৩২) ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তারের (৩০) বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতন ও মানব পাচারের অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে বরিশাল বিমানবন্দর থানায় মামলাও করেছে।
নির্যাতনের শিকার লামিয়া আক্তার মরিয়ম নামে ১০ বছর বয়সী মেয়েটিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার বাড়ি গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামে।
বিমান বন্দর থানার ওসি আব্দুর রহমান মুকুল সাংবাদিকদের বলেন, নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের মদিনা সড়কের একটি ভবনের কক্ষে আটকে রেখে এক শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতন করার খবর পেয়ে ডিবি সোমবার রাতে অভিযানে যায়।
“ওই এলাকার ‘আকাশ মঞ্জিল’ নামের ভবনের ৪ তলায় অভিযান চালিয়ে নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। এসময় আটক করা হয় গৃহকর্ত্রী শারমিন আক্তারকে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় গৃহকর্তা আশরাফুল ইসলাম।”
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটির দেহের বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে, তার দুই চোখের চারপাশই বীভৎসভাবে ফোলা।
গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই ইউনুস আলী ফরাজী বাদী হয়ে আশরাফ-শারমিন দম্পতির বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
এর তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মাহবুব আলম বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে মানবপাচার ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
শারমিনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গৃহকর্তা আশরাফকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।