মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমানের নেতৃত্বে বুধবার সকাল ১০টার দিকে চান্দনা চৌরাস্তা মোড় থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
বাসন থানার ওসি মো. মুক্তার হোসেন বলেন, চান্দনা চৌরাস্তা থেকে পশ্চিমে ভাওয়াল বদরে আলম কলেজ, দক্ষিণে ভোগড়া বাইপাস মোড়, উত্তরে শালনা রেলসেতু, পুবে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত বেলা আড়াইটা নাগাদ দেড় শতাধিক ভাসমান দোকান, বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়েছে।
“এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-গাজীপুর সড়কে যান চলাচল সহজ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।”
তিনি বলেন, “মানুষের যানমালের নিরাপত্তা ও যানজট নিরসনে অভিযানে নেমেছি। মানুষের জন্য শহর। মানুষ যাতে নিরাপদে চলতে পারে সেজন্য কাজ করতে চাই।
“কোনো অবস্থায় মহাসড়কে ও ফুটপাতে কোনো দোকান রাখা যাবে না। মহাসড়কের পাশে দোকান থাকলে মানুষের ঝুঁকি বাড়ে, দুর্ঘটনা বাড়ে।”
ভাসমান দোকানিদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, “তাদের জন্য ১০টি খোলা মার্কেট করে দেওয়া হবে। সেখানে বিনা জামানতে দোকান বসিয়ে দেওয়া হবে। এজন্য তাদের আবেদন করতে হবে।”
মহাসড়কের পাশের দোকানিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “মহাসড়কে কোনো পার্কিং চলবে না। মার্কেটের ভেতরে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। মহাসড়কে কোনো পণ্য লোড-আনলোড করা যাবে না।
“মহাসড়কের পাশে মার্কেটে যাদের দোকান-পাট আছে তাদের পণ্য লোড-আনলোড করতে মার্কেটের ভেতরেই জায়গা করতে হবে।”
উচ্ছেদকালে পুলিশ কমিশনার বেলালুর রহমান বলেন, “গাজীপুরের অনেক সমস্যার মধ্যে একটি কমন সমস্যা যানজট। যানজট আমাদের নগরবাসীর জন্য একটি অভিশাপ। আমি শুনেছি মুমূর্ষু রোগীকে ঢাকায় নেওয়ার পথে শুধু যানজটের কারণে চোখের সামনে বিনা সেবায় মরতে হয়েছে।
“রাস্তায় বহু ডেলিভারি পেশেন্ট বিনা সেবায় বাচ্চা প্রসব করেছে এবং মৃত্যু ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব বিষয় অনুধাবন করে প্রত্যেককে যানজট কমিয়ে আনার জন্য যা যা করণীয় আছে তা করতে অনুরোধ জানাই।”
সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবা বিলকিস,র্যাব ১-এর কোম্পানি কমান্ডার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মো. রফিকুল ইসলাম উচ্ছেদ অভিযানে ছিলেন।