সোমবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মলনে তিনি বলেন, “বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সরকার ষড়যন্ত্র, অবহেলা ও অমানবিক আচরণ করছে।”
৭৩ বছর বয়সী খালেদা জিয়ার গত ৫ জুন কারাগারে হঠাৎ করে পড়ে যাওয়ার খবর প্রকাশ হলে বিএনপি নেতারা তাদের নেত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়ার দাবি তোলেন।
গত শনিবার খালেদার ব্যক্তিগত চার চিকিৎসক কারাগারে দেখে এসে খালেদার ‘মাইল্ড স্ট্রোক’ হতে পারে বলে সন্দেহ করেন এবং তারাও এই নেত্রীকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়ার সুপারিশ করেন।
এর পরদিন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, রোববারই বিএসএমএমইউতে নেওয়া হবে বিএনপি চেয়ারপারসনকে।
কিন্তু পরে আর নেওয়া হয়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল পরে সাংবাদিকদের বলেন, এই বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষই সিদ্ধান্ত নেবে।
এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মওদুদ বলেন, “এত বড় একজন নেত্রী, যিনি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসন তাকে একটা মিথ্যা, ভুয়া, বানোয়াট মামলায় কারাবরণ করতে হচ্ছে এখন।”
‘মাইল্ড স্ট্রোকের’ একদিন পরও খালেদা জিয়ার যে বেসিক পরীক্ষাগুলো করা দরকার তাও হচ্ছে না বলে মওদুদের অভিযোগ।
মওদুদ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “ঘটনা ঘটেছে পরশু দিন, তো পরশুদিন যদি তার স্ট্রোক হয়ে থাকে আর গতকাল পর্যন্ত যদি তাকে হাসপাতালে নিয়ে নেওয়া না হয়ে থাকে তাহলে বেগম খালেদা জিয়ার শরীরের যদি কোনো অবনতি ঘটে, কোনো সংকট দেখা দেয়, তাহলে এর দায় দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে এই সরকাররের উপর বর্তাবে।”