রোহিঙ্গাদের শূন্যরেখা ছাড়ার নির্দেশ মিয়ানমারের

মিয়ানমারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সীমান্ত এলাকায় সৈন্য বাড়িয়ে শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 May 2018, 10:42 AM
Updated : 19 May 2018, 10:42 AM

এছাড়া রোহিঙ্গারা বলছে, শূন্যরেখায় থাকা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জায়গাটি মিয়ানমারের দাবি করে সে দেশের আইন-শৃংখলা বাহিনী বিজিপি মাইকে প্রচার চালাচ্ছে।

এতে শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

কক্সবাজারে বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান বলেন, শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সরে যেতে শনিবার সকাল থেকে মাইকিং করছে বিজিপি।

“বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির কোনারপাড়া সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারে গাছে মাইক বেঁধে ঘণ্টা দেড়েক পরপর তারা মাইকিং করে রোহিঙ্গাদের সরে যাওয়ার নির্দেশনা প্রচার করছে।”

এছাড়া বিজিপি সদস্যদের টহল জোরদার করতে দেখা গেছে বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তা মঞ্জুরুল।

তিনি রোহিঙ্গাদের বরাতে আরও বলেন, “রাখাইন রাজ্যে তাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সাধারণ মানুষের চলাচলের ওপর বিধি-নিষেধও জারি করেছে। বিষয়টি জানিয়ে রোহিঙ্গাদের সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে সরে যেতে মাইকিং করছে তারা।”

এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিজিবি সীমান্তজুড়ে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি টহল জোরদার করেছে বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তা মঞ্জুরুল।

শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সরে যাওয়ার এই নির্দেশে তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

শূন্যরেখা ক্যাম্পের ব্লক মাঝি মো. আরিফ বলেন, “বিজিপি মাইকিং করে জানিয়েছে তমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জায়গাটি মিয়ানমারের মংডু জেলার অন্তর্ভুক্ত। রাখাইন রাজ্যে মংডু জেলায় এখন দেশটির আইন-শৃংখলা বাহিনী সাধারণ মানুষের চলাচলের ওপর কড়া বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে।

“বিজিপি মাইকিং করে শূন্যরেখা থেকে চলে যেতে হুমকি দিচ্ছে। দ্রুত সরে না গেলে রোহিঙ্গাদের ওপর চরম বিপদ আসতে পারে।”

রোহিঙ্গা নেতা আরিফ জানান, মাইকিং করে শূন্যরেখা থেকে রোহিঙ্গাদের চলে যাওয়ার হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি মিয়ানমার সীমান্তে সৈন্য বাড়িয়েছে।

তিনি বলেন, “শনিবার সকাল থেকে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে মিয়ানমারে বিজিপির টহল জোরদার করতে দেখা গেছে। এতে শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।”

শূন্যরেখা ক্যাম্পের ব্লক মাঝি দীল মোহাম্মদ, নূরুল আলম ও সৈয়দ আলমসহ আরও কয়েকজন রোহিঙ্গা একই অভিযোগ করেছেন।