এ ঘটনায় শুক্রবার সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী শাহজালাল বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।
এরা হলেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সৈয়দপাড়ার মনির হোসেনের ছেলে মাইনুদ্দিন আহমেদ (৫০) ও রোহিঙ্গা তরুণী আসমা (১৮)।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক আজিজুল হক জানান, বৃহস্পতিবার জালকুড়ি আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে পাসপোর্ট করার জন্য মাঈনুদ্দিন বাবা সেজে রোহিঙ্গা তরুণী আসমাকে নিয়ে ফরম জমা দিতে যান।
“ফরম জমা নেওয়ার সময় আসমার নাম পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হলে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন। তখন সঙ্গে থাকা মাঈনুদ্দিনও অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন।
“এক পর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আসমাকে নিয়ে এসে টাকার বিনিময়ে বাবা সেজে পাসপোর্ট করতে এসেছিলেন।”
পরে পাসপোর্ট অফিস কর্তৃপক্ষ তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করে বলে আজিজুল হক জানান।
পরিদর্শক আজিজুল হক আরও জানান, আসমা তার নাম পরিচয় কিছুই ঠিকভাবে বলতে পারেনি। সে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছিল। কিন্তু কোন ক্যাম্পে সেটাও বলতে পারছে না।
“আসমাকে বিদেশ পাঠাবে বলে মাঈনুদ্দিন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে প্রথমে কুমিল্লা আনেন; পরে পাসপোর্ট করার জন্য নারায়ণগঞ্জে আনেন। মাঈনুদ্দিনকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”