বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির ডাকে সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ কর্মবিরতির পালিত হয়।
শনিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে একটি অনুষ্ঠান চলাকালে এক তরুণ ছুরি নিয়ে অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলা চালায়। হামলার পরপরই ফয়জুল নামে ওই তরুণকে ধরে ফেলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় ফয়জুলের মামা-চাচা ও বাবা-মাকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রোববার সন্ত্রাস দমন আইনের একটি মামলা করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে নির্ধারিত সময় থেকেই বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা জড়ো হয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন। এতে সংহতি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও কোষাধ্যক্ষ ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস।
“হামলার ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। এই কমিটিকে অতি দ্রুত তদন্তের ফলাফল দিতে বলব। বিচারিক ব্যাপারটা সরকার আইনানুগভাবে দেখবে। তবে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভেতরের ব্যাপারটা দেখব।”
শিক্ষক সমিতির সভাপতি সৈয়দ হাসানুজ্জামান বলেন, এই হামলা পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। এ ধরনের হামলা মুক্তচিন্তা চর্চা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত।
“আমরা এ ঘটনার মূল হোতাদের বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।”
অন্যদিকে, সকাল সাড়ে ১০টায় আইআইসিটি ভবনের সামনে থেকে একটি মৌন মিছিল বের করে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ বলেন, আগামী তিনদিন এই তিন বিভাগ মৌন মিছিলের কর্মসূচি পালন করবে। এছাড়া মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহীদ মিনারে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে জাফর ইকবালের সুস্থতা কামনায় প্রার্থনা করবে।
এছাড়াও সোমবার সন্ধ্যায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট লাল ব্যাজ ধারন করে মশাল মিছিল করবে বলে সংগঠনটির আহ্বায়ক মেহেদী কবীর জানিয়েছেন।