মঙ্গলবার ভোরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে পটুয়াখালী গোয়েন্দা পুলিশের ওসি খন্দকার জাকির হোসেন জানান।
গ্রেপ্তাররা হলেন- রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের বিক্রয় প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম (২৫), এয়ারটেলের বিক্রয় প্রতিনিধি মলয় দাস (২৫) এবং এ চক্রের সদস্য মোমেন খান (২৩)। তাদের বাড়ি জেলার বাউফল ও গলাচিপায়।
জাকির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তারা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে জালিয়াতি করে আসছিল। এমনকি তারা জলদস্যুদেরও অন্য নামে নিবন্ধিত সিম বিক্রি করে আসছিল। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার পর ডিবি পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার ভোরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।”
গ্রেপ্তার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জানিয়ে ওসি বলেন, “সিম জালিয়াতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে।”
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ায় অনিবন্ধিত সিম বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি এখন আর আঙুলের ছাপ না দিয়ে নতুন সিম পাওয়ার কথা নয়।
তারপরও সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি দোকানে জাতীয় পরিচয়পত্র ও আঙুলের ছাপ ছাড়াই সিম বিক্রির তথ্য পাওয়ায় অভিযান শুরু করে বিটিআরসি ও পুলিশ।
গত জুনে এয়ারটেলের তিন কর্মকর্তাকে সিম জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। ময়মনসিংহে বিপুল পরিমাণ নিবন্ধিত মোবাইল সিম, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভিওআইপি সরঞ্জামসহ তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।