রোববার জেলা প্রশাসক এএম পারভেজ রহিম এ তথ্য জানিয়েছেন।
আবু সাইদ শ্রীবরদী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
গত ৩১ মার্চ শ্রীবরদীতে ইউপিতে নির্বাচন চলাকালে মেয়র আবু সাইদ পৌরসভার গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘোরাঘুরি করেন। এ নিয়ে ইউএনও হাবিবা শারমিন তাকে নিবৃত করার চেষ্টা করলে তিনি ইউএনওর সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। ইউএনওকে হত্যার হুমকিও দেন।
ওই রাতেই কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের একটি কেন্দ্র থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে নিজ কার্যালয়ে ফেরার পথে দুবৃর্ত্তের হামলার শিকার হন ইউএনও।
পারভেজ রহিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন ও হামলার ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার বিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়।
“পরে ১৫ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন থেকে পাঠানো এক চিঠিতে মেয়রকে বরখাস্ত করা হয়। সেইসঙ্গে হামলার ঘটনায় মামলা করার জন্য ইউএনওকে নির্দেশ দেওয়া হয় চিঠিতে।”
শনিবার রাতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ইউএনও হাবিবা শারমিন মেয়রের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের ৫০/৬০ জনকে আসামি মামলা করেন বলে জানান শ্রীবরদী থানার ওসি এস আলম।
এদিকে তার বিরুদ্ধে আনা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং ইউএনওকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন মেয়র আবু সাইদ।
বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন বলেও জানান তিনি।