লালমনিরহাটে গুলিতে নিহত লিটনের লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

লিটনের লাশ হস্তান্তরের পর রাতেই দাফন করা হয়।

লালমনিরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 March 2024, 10:24 AM
Updated : 28 March 2024, 10:24 AM

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত লিটন মিয়ার লাশ ফেরত দেওয়া হয়েছে। 

১৫ বিজিবির আওতাধীন জাওরানি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবুল কাশেম জানান, হাতিবান্ধা উপজেলার জাওরানি সীমান্তের ৯১২ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিজিবি ও পুলিশের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করে বিএসএফ । 

তিনি বলেন, লিটনের লাশ পুলিশের মাধ্যমে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের পর রাতেই দাফন করা হয়। 

আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী সাংকারচওড়া গ্রামের মোকছেদুল হক ও দুলালি খাতুনের ১৯ বছর বয়সী ছেলে লিটন মিয়া সোমবার গভীর রাতে বিএসএফের গুলিতে আহত হয়েছিলেন। 

ওই ইউনিয়নের দীঘলটারী পশ্চিম সীমান্তের ৯২৩ নম্বর পিলারের কাছে ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিএসএফ তাকে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলা শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই মঙ্গলবার রাত ১০টায় লিটন মারা যান। 

হাতিবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, দুর্গাপুর সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে বিএসএফের হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত লিটনের লাশ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। এ সময় নিহতের স্বজন, বিজিবি, পুলিশ ও ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

ঘটনার পর পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার রাতে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গরু আনতে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দেয় একদল গরু পাচারকারী। গরু নিয়ে ফেরার পথে কোচবিহার জেলার দিনহাটা কৈমারী বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ঘিরে ফেলেন।

এ সময় গরু পাচারকারীরা এলাকায় ফোন করে বিষয়টি জানায়। তখন লিটনসহ ২০-২৫ জন বাংলাদেশি তাদের উদ্ধার করতে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। লিটন লাঠি নিয়ে একজন বিএসএফ সদস্যের দিকে তেড়ে যান। তখন গুলি ছোড়ে বিএসএফ।

বাকিরা পালিয়ে বাঁচলেও গুলিতে আহত হয়ে ভারতে পড়েছিলেন লিটন। পরে তাকে নিয়ে বিএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করে।

কয়েক বছর আগেও এমন একটি ঘটনায় বিএসএফের রাবার বুলেটের আঘাতে আহত হয়েছিলেন লিটন।

 মরদেহ হস্তান্তরের সময় ভারতীয় বিএসএফের ৭৫ ব্যাটালিয়ন কুচবিহারের এসিস্ট্যান্ড কমান্ডার শ্রী এম এল রানা, সিতাই থানার এসআই বীরেন্দ্র মেদরী, এএসআই মলয় সরকার এবং ১৫ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর অধীন জাওরানি বিওপির কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবুল কাশেম, হাতিবান্ধা থানার (তদন্ত) ওসি নির্মল কুমার মোহন্ত, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নিহতের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।