প্রার্থী একজন হলে ১১ ফেব্রুয়ারি নতুন রাষ্ট্রপতি : সিইসি

১৬ ফেব্র"য়ারি নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুযায়ী, ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র দাখিল, ৯ ফেব্র"য়ারি বাছাই এবং ১১ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Jan 2009, 07:26 AM
Updated : 29 Jan 2009, 07:26 AM
ঢাকা, জানুয়ারি ২৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ১৬ ফেব্রুয়ারি নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
তফসিল অনুযায়ী, ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র দাখিল, ৯ ফেব্র"য়ারি বাছাই এবং ১১ ফেব্র"য়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।
বৃহস্পতিবার স্পিকার আব্দুল হামিদ-এর সম্মতি পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন এ সময়সূচি নির্ধারণ করে।
বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এটিএম শামসুল হুদা সাংবাদিকদের জানান, রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী একাধিক হলে ১৬ ফেব্র"য়ারি দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সংসদ কক্ষে ভোটগ্রহণ চলবে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী একজন হলে মনোনয়পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন (১১ ফেব্র"য়ারি) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন রাষ্ট্রপতির নাম ঘোষণা করা হবে।
গত ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে নির্বাচিত হয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জিল্লুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করা হবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সিইসি জানান, সাংসদদের ভোটে যেহেতু রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন, সেহেতু সংখ্যাগরিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রার্থীই রাষ্ট্রপতি হবেন। এ নির্বাচন দলগতভাবে হয়; এক্ষেত্রে 'ওপেন ব্যালটে' রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিব্রত হওয়ার কিছু নেই।
নির্বাচন কমিশন ১৮ ফেব্র"য়ারি নির্বাচনের দিনক্ষণ প্রস্তাব করলেও স্পিকার ১৬ ফেব্র"য়ারি সময়সূচিতে সম্মতি দেন। এজন্যে প্রস্তাবিত সময়সূচিতে আংশিক পরিবর্তন হয়।
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব ফরহাদ আহম্মদ খান, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৮ জন রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। নবম সংসদে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি হবেন দেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি। ১৯৯১ সালে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের পর সাংসদদের সরাসরি ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়।
স্বাধীনতা উত্তরকালে রাষ্ট্রপতি ও তাদের মেয়াদকাল:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ থেকে ১১ জানুয়ারি ১৯৭২; সৈয়দ নজরুল ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত) ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ থেকে ৯ জানুয়ারি ১৯৭২; আবু সাইদ চৌধুরী ১২ জানুয়ারি ১৯৭২ থেকে ২৩ ডিসেম্বর ১৯৭৩; মোহাম্মদ উল্লাহ ২৪ ডিসেম্বর ১৯৭৩ থেকে ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ থেকে ১৪ আগস্ট ১৯৭৫; খন্দকার মোশতাক আহমেদ ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ থেকে ৬ নভেম্বর ১৯৭৫; এসএম সায়েম ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ থেকে ২০ এপ্রিল ১৯৭৬;
জিয়াউর রহমান ২১ এপ্রিল ১৯৭৬ থেকে ২৯ মে ১৯৮১; আবদুস সাত্তার (ভারপ্রাপ্ত) ৩০ মে ১৯৮১ থেকে ১৯ নভেম্বর ১৯৮১;
আবদুস সাত্তার ২০ নভেম্বর ১৯৮১ থেকে ২৩ মার্চ ১৯৮২; এএফএম আহসান উদ্দিন চৌধুরী ২৭ মার্চ ১৯৮২ থেকে ১০ ডিসেম্বর ১৯৮৩; হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১১ ডিসেম্বর ১৯৮৩ থেকে ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০; সাহাবুদ্দিন আহাম্মদ (অস্থায়ী) ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ থেকে ৯ অক্টোবর ১৯৯১; আবদুর রহমান বিশ্বাস ৯ অক্টোবর ১৯৯১ থেকে ৯ অক্টোবর ১৯৯৬; সাহাবুদ্দিন আহাম্মদ ৯ অকেক্টাবর ১৯৯৬ থেকে ১৪ নভেম্বর ২০০১; একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ১৪ নভেম্বর ২০০১ থেকে ২১ জুন ২০০২; মো. জমিরউদ্দিন সরকার (দায়িত্বপ্রাপ্ত)- ২১ জুন ২০০২ থেকে ৫ সেপ্টেম্বর ২০০২; ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ৬ সেপ্টেম্বর ২০০২ থেকে দায়িত্ব পালনরত।
জাতীয় পরিচয়পত্র ও উপজেলা নির্বাচন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সেবা নিতে জাতীয পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিার এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সরকারও এখন পর্যন্ত জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শনে বাধ্যতামূলক করে কোনো গেজেট প্রকাশ করেনি। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, অন্তভূক্তি ও কর্তনের কাজ শেষে নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশে সরকারকে অবহিত করবে বলে জানান তিনি।
এদিকে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সার্বিক তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে আগামী সপ্তাহে ইসির বক্তব্য তুলে ধরবেন বলে জানান সিইসি এটিএম শামসুল হুদা। এ বছর কোন্ কোন্ সময় নির্বাচন হবে