নতুন দল ‘ভাসানী জনশক্তি পার্টির’ আত্মপ্রকাশ

জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলন নতুন দলের গঠনতন্ত্র এবং ১২১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদন করেছে।

ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ভাসানী জনশক্তি পার্টির জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলন।

ভাসানী অনুসারী পরিষদ রাজনৈতিক দল হিসেবে ‘ভাসানী জনশক্তি পার্টি’ নামে আত্মপ্রকাশ করেছে।

রোববার ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ভাসানী অনুসারী পরিষদের ‘জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলন-২০২৫’ এ সারা দেশ থেকে আসা প্রতিনিধিরা সর্বসম্মতভাবে এই ঘোষণা অনুমোদন করেন।

দুই পর্বের এই সম্মেলনের প্রথম পর্বে দলের আত্মপ্রকাশের পাশাপাশি গঠনতন্ত্র ও কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদন করা হয়।

দ্বিতীয় পর্বে ছিল উন্মুক্ত আলোচনা। এই পর্বের উদ্বোধক জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার এবং প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে ভাসানী জনশক্তি পার্টির ১২১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদন করা হয়; দলের চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন যথাক্রমে শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল ও আবু ইউসুফ সেলিম।

২০১১ সালের ২০ জানুয়ারি মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর অনুসারীদের একটি দল ‘ভাসানী অনুসারী পরিষদ’ গঠন করেন।

আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুলের নেতৃত্বে সংগঠনটি ২০২২ সালে ৪ জুন রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ শুরু করে এবং ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামে রাজনৈতিক জোটে যোগ দেয়। রোববার প্রতিনিধি সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সংগঠনটি ভাসানী জনশক্তি পার্টি নামে রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল।

দলটির ১২১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে একজন চেয়ারম্যান, ২১ জন প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১০ জন ভাইস চেয়ারম্যান, একজন মহাসচিব, পাঁচজন যুগ্ম মহাসচিব, আটজন সাংগঠনিক সম্পাদক, আটজন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন সম্পাদকীয়, সহসম্পাদকীয় ও সদস্য পদ রয়েছে।

জেলা, মহানগর, থানা, উপজেলা, পৌর এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ন্যূনতম ৩১ সদস্যের কমিটি হবে।

কেন্দ্রীয়সহ সকল পর্যায়ের কমিটিতে ৩০ শতাংশ নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার কথাও ভাসানী জনশক্তি পার্টির গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে।

দলের কেন্দ্রীয়সহ সব পর্যায়ের কমিটির মেয়াদ হবে তিন বছর।

নতুন রাজনৈতিক দলটির মূল নীতি হচ্ছে, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচার।

জাতীয় প্রেসক্লাবে মিলনায়তনে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলন শুরু হয়। সারা দেশের সাংগঠনিক জেলার প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে অংশ নেন।

সম্মেলনে দলের গঠনতন্ত্র ও কেন্দ্রীয় কমিটি উপস্থাপন করলে হাত তুলে সর্বসম্মতভাবে তা অনুমোদন করেন প্রতিনিধিরা।

ভাসানী জনশক্তি পার্টি নিজেদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে তুলে ধরে বলেছে, বাঙালি জাতির ইতিহাসের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের নেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সংগ্রামী ইতিহাস-ঐতিহ্য ধারণ করবে দলটি।

ভাসানীর শিক্ষা-দর্শন, সমাজ ও রাষ্ট্র চিন্তার আলোকে জাতীয় জীবনে স্বাধীনতার ঘোষণা ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার’ প্রতিষ্ঠা করে ‘সুখী, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদা’ সম্পন্ন বাংলাদেশ গঠন করবে দলটি।