রূপমের ‘ইগো’ নেই, সৃজিত আমার মতই ‘কন্ট্রোলফ্রিক’: অনুপম

কলকাতার নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির সিনেমায় গানের সুতো থাকে সাধারণত সংগীত শিল্পী অনুপম রায় কিংবা রূপম ইসলামের হাতে। সুর-সংগীত পরিচালনা এবং সেইসঙ্গে গান গাওয়া, দুটোই করে থাকেন অনুপম বা রূপম। কিন্তু পূজার সিনেমা 'দশম অবতার'-এ সংগীত পরিচালনায় এই দুই শিল্পীকে একসঙ্গে দায়িত্ব দিয়েছেন সৃজিত। সেই দায়িত্ব পালনে নিজেদের রসায়ন নিয়ে কথা বলেছেন অনুপম রায়।

কলকাতার এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, রূপমের সঙ্গে তার সম্পর্ক ‘মধুর’ এবং এই শিল্পীর সঙ্গে কাজ করার জন্য তিনি ‘মুখিয়ে থাকেন’, আর সেই সুযোগটি ঘটেছে সৃজিতের মাধ্যমে।

কলকাতার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে গত এক দশকের বেশি সময় ধরে দাপিয়ে কাজ করে যাওয়া দুই শিল্পীর একসঙ্গে কাজ করতে সমস্যা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্ন রাখা হয়েছিল।

অনুপম বলেন, “এর আগেও দাদার সঙ্গে (রূপম ইসলাম) কাজ করেছি। এবারে ‘দশম অবতার’ এর সৌজন্যে ফের সুযোগ হল। রূপমদার সঙ্গে কাজ করা অনেক সহজ। কারণ তিনি আমার সত্তাটা বোঝেন।

রূপম চ্যালেঞ্জ নিতে পিছপা হন না জানিয়ে অনুপম বলেন, “রূপমদার বৈশিষ্ট্য হল তিনি নিজেকে ভাঙতে চান। কোনো ইগো নেই। অর্থাৎ কোনো গান গাওয়ার পর যে সেটি আর বদলানো যাবে না, এমনটা নয়। সহশিল্পীর এমন গুণ কাজ সহজ করে দেয়।”

এ প্রসঙ্গে দারুণ জনপ্রিয় শিল্পী অরিজিৎ সিং এবং শ্রেয়া ঘোষালের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন অনুপম।

“গুণী শিল্পীরা এমনই হন। যেমন অরিজিৎ আর শ্রেয়া। তারা কাজের ব্যাপারে সিরিয়াস। শ্রেয়া একবার গান গেয়ে আমাকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন কোনো জায়গায় পরিবর্তন করতে হবে কি না। সুরকারের চাহিদাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন তার মত একজন শিল্পী! একই বিষয়টা অরিজিৎ সিংয়ের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।”

নির্মাতা সৃজিতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও খোলামেলা কথা বলেছেন অনুপম। তারা দুই জনেই যে কর্তৃত্বপরায়ণ, তা নিয়ে রাখঢাক করেননি।

অনুপম বলেন, “আমরা দুজনই কন্ট্রোলফ্রিক। তাই সংঘাত তো লাগবেই। আর দুই জনেই নিজেদের পছন্দ, অপছন্দ নিয়ে বেশ স্পষ্টবাদী। আগে আমরা অনেক ঝগড়া করতাম। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা আরও শান্ত হয়েছি। আমাদের তর্কের ধরন বদলেছে। এখন আমরা নরম স্বরে নিজেদের মন্তব্যগুলো একে অপরকে বোঝানোর চেষ্টা করি।”

পূজায় মুক্তি পাচ্ছে সৃজিতের ‘২২ শে শ্রাবণ' সিনেমার প্রিক্যুয়েল ‘দশম অবতার'। কিছুদিন আগে সিনেমার ট্রেইলার এসেছে সোশাল মিডিয়ায়। ট্রেইলার দেখে এতটুকু আঁচ করা যায় যে, এখানে এক সিরিয়াল কিলার একের পর এক খুন করে আড়ালে চলে যায়। খুনি ধরতে কলকাতার পুলিশ দিশাহারা। অন্যদিকে সিরিয়াল কিলারের কাছে খুন মানে সমাজের জঞ্জাল সাফ করা।

সিনেমায় পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে দেখা যাবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও অনির্বাণ চক্রবর্তীকে। আরও আছেন জয়া আহসান ও যীশু সেনগুপ্ত। সংবাদসূত্র: এই সময়

(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)