ডিপজলের দায়িত্ব পালনে বাধা কাটল

গত ২০ মে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল হাই কোর্ট; সেই আদেশ স্থগিত হয়ে গেছে।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের দায়িত্ব পালনে হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ।

এর ফলে সমিতির সম্পাদক হিসেবে ডিপজলের এখন দায়িত্ব পালনে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম সোমবার হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেন।

ডিপজলের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, জয়নুল আবেদীন, মাহবুব আলী, মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ ও অ্যাডভোকেট এ কে খান উজ্জ্বল। নিপুণের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।

অ্যাডভোকেট এ কে খান উজ্জ্বল সাংবাদিকদের বলেন, “সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞা আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছে চেম্বার আদালত। এখন তার দায়িত্ব পালনে কোনো বাধা নেই।”

গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন হয়, যেখানে ২৬৫ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে জয়ী হন মিশা সওদাগর। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ কলি পান ১৭০ ভোট।

২২৫ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাসরিন আক্তার নিপুণ অল্প ভোটে হেরে যান; তিনি পান ২০৯ ভোট।

নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফলাফল বাতিল চেয়ে গত ১৫ মে রিট আবেদন করেন পরাজিত প্রার্থী নাসরিন আক্তার নিপুণ। মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয় সেখানে।

গত ২০ মে রিটের শুনানি নিয়ে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দেয় বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ। সেই সঙ্গে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।

নিপুণের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ওইদিন বলেছিলেন, “আমরা সভাপতি ও সম্পাদক দুজনের দায়িত্ব পালনের ওপরে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছিলাম। তবে সম্পাদক পদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল গুরুতর।

“শুনানি শেষে আদালত শুধু সম্পাদক পদের দায়িত্ব পালনের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। এর ফলে মনোয়ার হোসেন ডিপজল দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।”

হাই কোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার জজের আদালতে গিয়ে নিজের পক্ষে আদেশ পেলেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

পুরনো খবর

শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা