মোশাররফের ‘আধুনিক বাংলা হোটেলে’ মিলবে হরর, ফ্যান্টাসি, থ্রিলারের স্বাদ

তিন সপ্তাহে তিন পর্বে প্রচারিত হবে ’আধুনিক বাংলা হোটেল’ সিরিজটি।

‘আধুনিক বাংলা হোটেল’ এ মোশারফ করিম

মজার-হাসির বা সিরিয়াসসহ বহু মাত্রিক চরিত্রে কাজ করা অভিনেতা মোশরারফ করিম প্রথমবারের মত কাজ করেছেন অ্যান্থলজি সিরিজে।

‘আধুনিক বাংলা হোটেল’ নামের সিরিজটি প্রচার হবে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে। তিন সপ্তাহে তিন পর্বে প্রচারিত হবে সিরিজটি।

চরকি বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বুধবার রাত ১২টা থেকে দর্শকরা দেখতে পাবেন সিরিজের প্রথম পর্ব ‘বোয়াল মাছের ঝোল’।

‘আধুনিক বাংলা হোটেল’ সিরিজটি নির্মিত হয়েছে শরীফুল হাসানের ছোট গল্প থেকে। লেখকের তিনটি গল্প থেকে বানানো হয়েছে তিনটি সিরিজ।

ছোট গল্প ’খাসির পায়া’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘খাসির পায়া’ পর্ব, ‘নো এক্সিট’ গল্প থেকে নির্মাণ করা হয়েছে ‘হাঁসের সালুন’ আর 'খাবার’ নামের গল্প থেকে ‘বোয়াল মাছের ঝোল’ পর্বটি নির্মিত হয়েছে।

তিন পর্বেরই চিত্রনাট্য লেখা ও পরিচালনা করেছেন কাজী আসাদ।

নির্মাতা আসাদ বলেছেন, ‘আধুনিক বাংলা হোটেল’ সিরিজে দর্শক নানা ঘরানার মিশেল পাবেন। গল্পে সাইকোলজিক্যাল হরর, ফ্যান্টাসি, থ্রিলার ও মিথলজির মিশ্রণ রয়েছে।

আসাদ বলেছেন, তিনটি গল্পে তিনভাবে দেখা যাবে মোশারফ করিমকে।

মোশারফ বলেছেন, খাবারের নাম দিয়ে যে এমন সব গল্প হতে পারে এটা তার ভাবনাতেই ছিল না। দর্শকরা সিরিজটি দেখে বিস্মিত হবেন বলে মনে করেন তিনি।

মোশারফ করিম বলেন, "সিরিজে আমার চরিত্রগুলোতে দেখা–অদেখার মিশ্রণ রয়েছে। চরিত্রগুলোর কিছু বৈশিষ্ট আমাদের আশেপাশের মানুষের মধ্যে পাওয়া যায়। আবার কিছু বৈশিষ্ট অদেখা। কিছু বিষয় আছে বাইরে থেকে বোঝা যায়। কিন্তু তার মনের মধ্যে যা চলছে, সেটি বোঝার উপায় থাকে না, মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব থাকে। এমন বিষয় আনতে হয়েছে সিরিজটির অভিনয়ে।

“এসব ক্ষেত্রে আমি আমার নিজের অনুভূতি চিন্তাভাবনা কাজে লাগিয়েছি। আর কিছু অবজারভেশন তো থাকেই।"

পরিচালকের ইচ্ছা ছিল মোশারফকে কোনো একটি প্রজেক্টেই ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে উপস্থাপন করার।

“সেটা খুব ভালোভাবেই তিনি উপস্থাপন করেছেন।”

শুটিংয়ে অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে আসাদ বলেছেন তার মনে হয়েছে মোশারফ করিম কাজটিতে ‘ডুবে গিয়েছিলেন’।

“হাঁসের সালুন যখন শুট করি বরিশালে, তখন টানা তিন রাত আমাদের শুটিং করতে হয়েছিল। সেখানে লক্ষ্য করেছি, মোশারফ করিম যেন ফুল চার্জে ছিলেন। সারা রাত শুটিং করে সকালে কয়েক ঘণ্টা ঘুমিয়ে আবার শুটিং করেছেন।

“’খাসির পায়া’তেও একই অবস্থা। এ গল্পের প্রায় সব দৃশ্যই ছিল রাতে। আমার ধারণা ওনার ’আধুনিক বাংলা হোটেল’ ভালো লেগেছে জন্যই এত পরিশ্রম করেছেন তিনি।"

গত ৯ জুলাই ‘আধুনিক বাংলা হোটেল’ প্রজেক্টে চুক্তিবদ্ধ হন মোশারফ করিম।

এরপর টানা দুই মাস ধরে দেশের বিভিন্ন জায়াগায় দৃশ্যধারণের কাজ চলেছে।

সিরিজের বিভিন্ন পর্বে অভিনয় করেছেন গাজী রাকায়েত, সালাহউদ্দিন লাভলু, শিল্পী সরকার অপু, একে আজাদ সেতু, নিদ্রা নেহাসহ অনেকে।