৭ ফিফটির পর নিসানকার ‘প্রথম’

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতলেন শ্রীলঙ্কার এই ওপেনার।

৭৪ রানের ইনিংস খেলার পথে পাথুম নিসানকার একটি শট। ছবি: আইসিসি

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এর আগে ত্রিশ ম্যাচে সাতটি পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেছেন পাথুম নিসানকা। কিন্তু একবারও জিততে পারেননি ম্যাচ সেরার পুরস্কার। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারানোর পথে দায়িত্বশীল এক ইনিংসের সুবাদে সেই অপূর্ণতা ঘুচল শ্রীলঙ্কান ওপেনারের।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রাথমিক পর্বে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে মঙ্গলবার ৭৪ রান করেন নিসানকা। ৩১তম ম্যাচে এটি তার অষ্টম ফিফটি। ৬০ বলের ইনিংসটি সাজান ২ ছক্কা ও ৬ চারে।

ব্যাট হাতে দারুণ এই পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি হিসেবে জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এর আগে কেবল একবার হয়েছিলেন ম্যান অব দা ম্যাচ, ওয়ানডেতে।

নিসানকার ইনিংসের সৌজন্যে আমিরাতের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করে ৮ উইকেটে ১৫২ রান করে শ্রীলঙ্কা। পরে বোলারদের নৈপুণ্যে প্রতিপক্ষকে ৭৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৭৯ রানের বড় জয় তুলে নেয় ২০১৪ আসরের চ্যাম্পিয়নরা।

ইনিংস শুরু করতে নেমে শেষ ওভার পর্যন্ত খেলেন নিসানকা। প্রথম বাউন্ডারি পান তিনি তৃতীয় ওভারে। এরপর এগিয়ে যেতে থাকেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। পঞ্চদশ ওভারে ৪৫ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি।

ওই ওভারেই বিশ্বকাপের এবারের আসরে প্রথম ও সব মিলিয়ে পঞ্চম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেন কার্তিক মিয়াপ্পান। তার শিকার হন ভানুকা রাজাপাকসে, চারিথ আসালাঙ্কা ও দাসুন শানাকা।

ভীষণ চাপে পড়া শ্রীলঙ্কার রান এরপর বাড়ে নিসানকার ব্যাটে। ১৯তম ওভারে জুনাইদ খানকে টানা চার-ছক্কা মারেন তিনি। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে তার ইনিংস থামে জহুর খানের বলে মিড-অফে ধরা পড়ে।

গত বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পা রাখা নিসানকার এই সংস্করণের বৈশ্বিক আসরে এটি চতুর্থ ফিফটি।