গত অগাস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ধোনি। ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ খেলেছেন জাতীয় দলের হয়ে। এরপর দীর্ঘ এক বছর দলের বাইরে থেকে বিদায় বলে দেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।
প্রতিপক্ষের দেওয়া লক্ষ্য ধোনি নিখুঁত ও বরফ-শীতল মাথায় তাড়া করতেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৩৭৫ রান তাড়ায় ভারতের ব্যাটিং দেখে সেই ঘাটতি খুঁজে পেয়েছেন হোল্ডিং। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সেটাই তুলে ধরেন তিনি।
“ভারতের জন্য ওই রান তাড়া করা সবসময়ই কঠিন ছিল। তারা একটি জায়গায় ভুগবে, তা হলো মহেন্দ্র সিং ধোনির অভাব।”
“ভারতের ব্যাটিং অর্ডারের অর্ধেক আউট হলে নামত ধোনি এবং সাধারণত সে রান তাড়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিত। যখন ধোনি দলে ছিল তখন ভারত খুব ভালো রান তাড়া করত।”
“এই ব্যাটিং লাইন-আপ খুবই প্রতিভা সম্পন্ন। আমরা দেখেছি দারুণ কিছু ক্রিকেটার ও অসাধারণ কিছু স্ট্রোকপ্লে। হার্দিক দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেছে, তবে তাদের এখনও দরকার ধোনির মতো একজন। শুধু তার দক্ষতার জন্য নয়, তার দৃঢ়তার জন্যও।”
হোল্ডিংয়ের মতে, ধোনির উপস্থিতিতে ভারতীয় দলের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যেত। যেকোনো পরিস্থিতি থেকে দলকে উদ্ধার করবেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান, এমন আস্থা ছিল সবার।
“টস জেতা নিয়ে এবং প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে পাঠানো নিয়ে তারা কখনও ভয় পায়নি। কারণ, এমএস ধোনি ও দলের ব্যাটিং বিভাগ কি করতে পারে, তাদের জানা ছিল।”
“যখন ভারত রান তাড়া করত, আমরা দেখিনি ধোনিকে উদ্বিগ্ন হতে। সে ওই লক্ষ্য তাড়াকে খুব ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করত। কারণ, সে নিজের সামর্থ্য ও রান তাড়ায় কি করতে হয় জানত।”
ধোনি কেবল নিজেই দলকে এগিয়ে নিতেন না, সতীর্থদেরও সাহস জোগাতেন। হোল্ডিংয়ের কাছে রান তাড়ায় ধোনি বিশেষ একজন।
“তার সঙ্গে যেই ব্যাটিং করত, সে সব সময় তাদের সঙ্গে কথা বলত ও সাহায্য করত। ব্যাটিং লাইন-আপ দারুণ, কিন্তু ধোনি রান তাড়ায় বিশেষ একজন ছিল।”
ওয়ানডেতে ৩৫০ ম্যাচ খেলা ধোনির ব্যাটিং গড় ৫০.৫৭। রান তাড়ায় তা ৫১.০৪। ধোনি খেলেছেন এমন রান তাড়ার ম্যাচ ভারত জিতেছে ১১৬টি। আর সেখানে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের গড় ১০২.৭১!
টি-টোয়েন্টিতে ৯৮ ম্যাচে ৩৭.৬০ গড়ে রান করা ধোনির পরে ব্যাটিংয়ের গড় ৪৭.৫১। এই সংস্করণে ২৯টি জেতা ম্যাচে তার ব্যাটিং গড় ৭২.৫০।