জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের জন্য রোববার ঘোষিত ১৬ সদস্যের দলে রাখা হয়নি মাহমুদউল্লাহকে। ২০১৮ সালের শেষ দিকে দেশের মাটিতে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টেই অপরাজিত সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। তিন অঙ্কের দেখা পান পরের দুই সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও।
দেশের মাটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট থেকে এই সংস্করণে সময়টা অবশ্য ভালো যাচ্ছে না তার। টানা চার ম্যাচের আট ইনিংসে পাননি কোনো ফিফটি। বিশেষ করে পাকিস্তান সফরে দ্বিতীয় ইনিংসে তার আউট হওয়ার ধরণ নিয়ে হয়েছে সমালোচনা।
এরপরই গুঞ্জন ছড়ায়, মাহমুদউল্লাহকে টেস্ট থেকে অবসর নিতে বলেছেন ডমিঙ্গো। দল ঘোষণার পর প্রধান নির্বাচক জানালেন, তেমন কোনো আলোচনাই হয়নি।
“এটা বলেনি। অবসরের কথা বলেনি আমাদের সাথে। আমরা ছিলাম, কী কথা হয়েছে সেটা আমরা জানি। সুতরাং এখানে এরকম কিছু হয়নি।”
মাহমুদউল্লাহর বিশ্রাম প্রয়োজন বলে মনে করেন মিনহাজুল।
“একজন সিনিয়র খেলোয়াড়, ওর বিশ্রাম দরকার আছে। ওকে এই সিরিজ থেকে বিশ্রাম দিয়েছি। দেশের মাটিতে খেলা, তাই নতুন কিছু খেলোয়াড়কে আমরা দেখতে চাইছি।”
“পাশাপাশি কিছু খেলোয়াড়কে আমরা পাকিস্তান সফরের জন্য নিয়েছিলাম। একটা-দুইটা বা পাঁচটা টেস্ট খেলেছে, এমন খেলোয়াড় আছে। এই অভিজ্ঞতাকে আমরা কাজে লাগানোর জন্যই এটা চিন্তা করেছি।”
২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্ট সিরিজের মাঝপথ থেকে মাহমুদউল্লাহকে দেশে ফেরত পাঠাতে চেয়েছিলেন সেই সময়ের কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে। বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসানের হস্তক্ষেপ ও ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার চাওয়ায় ফেরত পাঠানো হয়নি মাহমুদউল্লাহকে। পরে ফিরেছিলেন রানে।
সবশেষ ১০ ইনিংসে কেবল একবার পঞ্চাশ ছুঁতে পারা ব্যাটসম্যানের সামনে আবার চ্যালেঞ্জ নিজেকে প্রমাণ করার। প্রধান নির্বাচক জানান, চাইলে বিসিএলে খেলতে পারেন মাহমুদউল্লাহ। প্রথম শ্রেণির এই টুর্নামেন্টে তার খেলতে বাধা নেই।